Disha Patani firing accused encounter
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানীর (Disha Patani) বাড়ির বাইরে গুলিবর্ষণের (HouseFiring) ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে এনকাউন্টারে (Encounter) হত্যা করেছে দিল্লি পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ (STF)। ১২ সেপ্টেম্বর বেয়ারেলির সিভিল লাইন্স এলাকায় দিশা পাটানীর বাড়ির বাইরে গভীর রাতে একাধিক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সৌভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত হয়নি।
তবে ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তৎপর হয়। সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সাহায্যে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়।অভিযুক্তদের পরিচয় মেলে রবিন্দ্র ও অরুণ হিসেবে। দুজনেই কুখ্যাত গোল্ডি ব্রার (GoldyBrarGang) -রোহিত গোদারা গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়।অভিযুক্তরা হরিয়ানার রোহতক ও সোনিপতের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত।
তার সিনেমা দেখানো হবে কান উৎসবে, কিন্তু তিনিই এক মাস আগে হারিয়ে গেলেন গাজায় ইসরায়েলি হামলায়!
“ডেলিভারি বয়” ছদ্মবেশে ঘরে ঢুকে ২২ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ, সেলফি ক্লিক করে “I’ll be back” বার্তা!
অবশেষে মঙ্গলবার রাতে গাজিয়াবাদের ট্রোনিকা সিটি এলাকায় পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে। এরপর শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।তখনই পুলিশ ও অভিযুক্তদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রবিন্দ্র ও অরুণ গুরুতর আহত হন।পরবর্তী সময়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এভাবেই দিশা পাটানী বাড়ি গুলিকাণ্ডের দুই অভিযুক্তের পরিণতি হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে দুটি আধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। একটি Glock ও অন্যটি Zigana পিস্তল।এছাড়া প্রচুর কার্তুজ ও গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এগুলো বিদেশি তৈরি অস্ত্র।অভিযুক্তদের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপও পুলিশ নজরে এনেছে। গুলির ঘটনার পর একটি পোস্টে তারা দায় স্বীকার করেছিল।
পোস্টে লেখা ছিল, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে মন্তব্যের প্রতিশোধ নিতে তারা এই হামলা চালিয়েছে। যদিও পরে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।তবে তদন্তকারী সংস্থা বলছে, এটি গ্যাংস্টারদের ক্ষমতা প্রদর্শনের কৌশল। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই মূল উদ্দেশ্য।দিশা পাটানীর বাবা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার, জানিয়েছেন গুলিগুলো অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্র থেকে ছোড়া হয়েছিল।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ব্যক্তিগতভাবে দিশার পরিবারকে ফোন করেন। তিনি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
এছাড়াও প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, দিশা পাটানীর পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পুলিশের টহলও জোরদার করা হয়েছে।তবে সমালোচকদের মতে, এ ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে সামনে এনেছে। সেলিব্রিটিদের বাড়িতেও হামলা হতে পারে, এটাই আতঙ্কের বিষয়।যদিও পুলিশের দাবি, এই এনকাউন্টার বার্তা দিয়েছে— অপরাধীরা যত প্রভাবশালীই হোক, আইন থেকে পালানো সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, বলিউড মহলেও আতঙ্কের ছাপ পড়েছে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে দিশার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, গ্যাংস্টারদের এই নেটওয়ার্ক কতটা বিস্তৃত। তাদের শেকড় খুঁজে বের করা জরুরি হয়ে পড়েছে।যেহেতু এরা সীমান্তপারের গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত, তাই আন্তর্জাতিক দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছেই।
সর্বোপরি, দিশা পাটানীর বাড়ির বাইরে গুলিবর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত দুইজন নিহত হওয়ায় পুলিশের স্বস্তি কিছুটা বেড়েছে।তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্যাংস্টারদের এই ধরনের তৎপরতা থামাতে আরও কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন।কারণ এনকাউন্টার ঘটলেও মূল চক্রকে ধ্বংস না করলে সমস্যা আবারও ফিরে আসতে পারে।
আরও পড়ুন :