MetroInDinoReview
ক্লাউড টিভি । FILM REVIEW : ২০০৭ সালের ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ ছবির স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে, আনুরাগ বসু ফিরলেন তাঁর নতুন সৃষ্টি ‘মেট্রো… ইন দিনো’ নিয়ে।(MetroInDinoReview) তে প্রথমেই বলি প্রেক্ষাপটের কথা। প্রেক্ষাপট (plot) আধুনিক শহর, গল্পগুলোর ভিতরে আছে নানা বয়স ও স্তরের মানুষের সম্পর্কের জটিলতা, তাদের অনুভূতি আর পুনর্মিলনের গল্প।এই ছবির মাধ্যমে পরিচালক বোঝাতে চেয়েছেন-আজকের দিনের শহুরে জীবন, যেখানে ভালোবাসা হঠাৎ পথ হারিয়ে ফেলে কিন্তু আবারও কোথাও নতুন করে জন্ম নেয়। যেনো রুমির উক্তিতে বলা যায়,
“Life is a balance between holding on and letting go.”
ছবিতে একাধিক আলাদা সম্পর্কের গল্প একসাথে এগিয়েছে, এক ধরণের অ্যান্থোলজির ভঙ্গিতে।
আদিত্য রয় কাপুর ও সারা আলি খান: নতুন প্রজন্মের দ্বিধা ও সম্পর্ক নিয়ে না-পাওয়া কনফিউশনের গল্প।
আলি ফজল ও ফাতিমা সানা শেখ: কেরিয়ার বনাম ভালবাসার সংঘাত।
কঙ্কণা সেন শর্মা ও পঙ্কজ ত্রিপাঠী: বিবাহিত জীবনের ক্লান্তি ও নতুন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় এক ঝাঁক মিষ্টতা আর ব্যঙ্গ।
নীনা গুপ্তা ও অনুপম খের: বয়স বাড়লেও ভালোবাসার খিদে ফুরোয় না—এমন এক দৃষ্টান্ত।
এই সব গল্প একে অপরের সঙ্গে বিন্দুমাত্র মিশে না গেলেও, আবেগের স্তরগুলো মিলিয়ে একসাথে সুর তোলে।এই সিনেমার ক্ষেত্রে আলাদা করে প্রীতমের সঙ্গীতের কথা বলতে হয়।প্রিতম আবারও প্রমাণ করেছেন, কেন তিনি এই প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মিউজিক ডিরেক্টর। প্রতিটি গান গল্পের মেজাজে মানানসই, বিশেষত ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরটি চিত্রনাট্যের সঙ্গে এতটাই মিশে গেছে, যেন এক একটি দৃশ্য এক একটি গানের অংশ।
‘সাজনা’, ‘ফির দেখা’, আর ‘দিনো’—এই গানগুলো দর্শকের মনে আলাদা প্রভাব ফেলবে।
এবার অভিনয় ও পরিচালনা নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয় সে সকলেই নিজ নিজ চরিত্রে অনবদ্য। প্রায় সকলের power- packed performance মুগ্ধ করে।
পঙ্কজ ত্রিপাঠী ও কঙ্কণা সেন শর্মা দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন—বিশেষত তাদের মধ্যবয়সী দাম্পত্য জীবনের সংকটগুলোকে খুব সাবলীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।তবে আর একটা কথা লিখতেই হবে – এই গল্পের প্রতিটি দৃশ্যে বারবার মনে পড়বে প্রয়াত ইরফান খানকে। পঙ্কজ ত্রিপাঠী ভালো অভিনেতা কিন্তু তার কপাল খারাপ তিনি এসেছেন ইরফানের জায়গায়। আসলে ইরফান খানকে রিপ্লেস করা যায় না। এই ছবি দেখতে দেখতে তাঁকে বারবার মনে পড়বে। কঙ্কনা তার স্বাভাবিক স্বতস্ফূর্ত অভিনয় দিয়ে মন জয় করে নিয়েছেন।
আদিত্য ও সারা কিছুটা দুর্বল হলেও, গল্পের আবহে মানিয়ে গেছে।
আলি ও ফাতিমার রসায়ন যথেষ্ট প্রাঞ্জল।
নীনা-অনুপম জুটি অনবদ্য
আনুরাগ বসুর পরিচালনায় আবেগ কখনও অতিনাটকীয় হয় না, বরং দৃশ্যগুলিকে চিত্রনাট্যের মতো বুনেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের হাতছানি—বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
ছবির বেশ কিছু দুর্বলতার কথা ও বলতে হবে ।
ছবির দৈর্ঘ্য একটু বেশি (প্রায় ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট), যা কিছু অংশে বিরক্তি তৈরি করতে পারে।
কিছু সাবপ্লট খুব বেশি গভীরতায় না গিয়েই শেষ হয়ে যায়।
আরো পড়ুন :
ফের বিতর্কে শুভমান গিল, ৩০০ কোটির চুক্তি নিয়ে অস্বস্তিতে বিসিসিআই