RajChakraborty on DevSubhashree
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | কলকাতা: দশ বছর পর ফের এক মঞ্চে টলিপাড়ার একসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি—দেব ও শুভশ্রী। ‘ধূমকেতু’ ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেই ঝড় ওঠে নেটদুনিয়ায়। আর সেই ঝড়ের কেন্দ্রে উঠে আসেন পরিচালক ও শুভশ্রীর স্বামী রাজ চক্রবর্তী (RajChakraborty on DevSubhashree)।
অনেকে প্রশ্ন তোলেন, দেব-শুভশ্রীর পুনর্মিলনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে রাজ কেন অনুপস্থিত?
রাজ অবশ্য একদম নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে জবাব দিলেন, যার মধ্যে ছিল স্পষ্টতা, ব্যক্তিত্ব ও পরিণত মনোভাব। তিনি বলেন,
“দেবের ‘প্রাক্তন বান্ধবী’ শুভশ্রী আমার স্ত্রী। প্রত্যেকেরই অতীত আছে। অতীত নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। সেটা কোনো অপরাধ নয়। আমি সেটা সম্মান করি, ঈর্ষা করি না।”
অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণ সম্পর্কে রাজ জানান,
“অনেক কাজ ছিল, অনেক মিটিং ছিল। আমি তো এই ছবির সঙ্গে যুক্ত নই। এটা একটা সিনেমার ইভেন্ট, বিয়ে নয় যে আমায় থাকতে হবে। যারা ছবির সঙ্গে যুক্ত, তারাই উপস্থিত ছিলেন।”
এই কথার মাধ্যমে রাজ স্পষ্ট করে দেন যে, তিনি ঘটনাকে ব্যক্তিগতভাবে না দেখে পেশাগত দৃষ্টিতে দেখেছেন। অতীতকে সম্মান করে বর্তমানকে গুরুত্ব দেওয়ার নজিরও রাখেন তিনি।
‘ধূমকেতু’ ছবিটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে ১৪ আগস্ট। প্রায় এক দশক আগে শ্যুটিং হওয়া এই ছবি নানা কারণে আটকে ছিল। দেব ও শুভশ্রী দু’জনেই এ দিন ছিলেন খোশমেজাজে। ভক্তদের প্রশ্নের জবাবে খুনসুটিতে মাতেন তাঁরা। একে অপরকে কাঁধে হাত রেখে হাসিমুখে ছবি তোলেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এই আবহেই রাজ চক্রবর্তীর উপস্থিতি না থাকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। অনেকেই ধরে নেন, তিনি হয়তো ‘প্রাক্তন’ প্রসঙ্গে অস্বস্তিতে। কিন্তু রাজের প্রতিক্রিয়া সেই জল্পনায় জল ঢেলে দেয়।
‘জন্মে আমার নাম থেকে শুভশ্রীকে সরাতে পারব না’: দেবের খোলামেলা স্বীকারোক্তি
কিয়ানু রিভস ও স্যান্ড্রা বুলককের রোমান্টিক থ্রিলারে একসঙ্গে কামব্যাক
রাজ বলেন,
“মানুষের জীবনে অতীত থাকেই। আমার জীবনেও আছে। আপনার জীবনেও হয়তো আছে। সেটা নিয়ে বারবার টানাটানি করলে কারও ভালো লাগবে না। বরং স্মৃতি হিসেবে থাকাই ভালো। অনেক ইতিবাচক দিকও থাকে।”
তিনি আরও বলেন,
“দেব-শুভশ্রীর পুরনো বন্ধুত্ব থাক বা না থাক, তার চেয়েও বড় বিষয় হল এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে। একটা জুটি আবার বড়পর্দায় ফিরছে। সেটাই উদযাপনের যোগ্য।”
রাজের এই মন্তব্য সামাজিকভাবে যথেষ্ট প্রশংসিত হচ্ছে। কারণ যেখানে বহু মানুষ হীনমন্যতায় ভোগেন বা ঈর্ষান্বিত হন, সেখানে রাজ চক্রবর্তী একজন পরিণত পুরুষের মতো আচরণ করেছেন।
আরও পড়ুন :