Breaking News

Satyajit Ray 104

সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি: বিশ্বচলচ্চিত্রে এক চিরকালীন কিংবদন্তি

তাঁর ক্যামেরা কখনও মেলোড্রামা খুঁজত না, বরং সংযত, নান্দনিক ভাষায় বলত গভীর কথা।

Satyajit Ray 104: Celebrating His Legacy Today %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Satyajit Ray 104

কলকাতা, ২ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি): আজ, ২ মে, বাংলা ও বিশ্ব চলচ্চিত্রের কালজয়ী স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়-এর ১০৪ তম (Satyajit Ray 104) জন্মবার্ষিকী। ১৯২১ সালের এই দিনে কলকাতার এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর সৃষ্টি, চিন্তাধারা, সিনেমার ভাষা আজও প্রাসঙ্গিক, আজও অনুপ্রেরণা।

এই বিশেষ দিনে (Satyajit Ray 104) রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি—চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, প্রদর্শনী ও শিল্পকর্মে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। নন্দন, বাংলা আকাদেমি, এবং বিশ্বভারতী-তে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ কর্মসূচির।

Rappa Ray : বড়োপর্দায় এবারে আসছে “রাপ্পা রায় ও ফুলস্টপ ডট কম”, পরিচালনায় চমক

২ মে: পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে ফিরে দেখা গানের এক জাদুকরের দিকে

সত্যজিৎ রায়ের জীবন ও কর্ম
সত্যজিৎ রায় শুধুই একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক বহুমাত্রিক শিল্পস্রষ্টা—চিত্রনাট্যকার, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতকার, গ্রাফিক ডিজাইনার এবং সাহিত্যিক। তাঁর তৈরি ‘ফেলুদা’, ‘প্রফেসর শঙ্কু’ আজও বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।

তাঁর প্রথম ছবি “পথের পাঁচালী” (১৯৫৫) আন্তর্জাতিক ফিল্ম জগতে ভারতকে এক নতুন পরিচিতি এনে দেয়। কান চলচ্চিত্র উৎসব সহ বিশ্বের বহু নামী মঞ্চে এই ছবি পুরস্কৃত হয়।

তারপর একের পর এক চলচ্চিত্র—অপরাজিত, অপুর সংসার, চারুলতা, জন অরণ্য, মহানগর, অশনি সংকেত, হীরক রাজার দেশে—প্রতিটি ছবিই আলাদা ঢঙে বলেছে মানুষের কথা, সমাজের কথা, সময়ের কথা।

তিনি বাংলা ছবিকে শুধু আন্তর্জাতিক মানের করে তুলেননি, বরং ভারতীয় চলচ্চিত্রের ভাষাকেও বদলে দিয়েছিলেন।

বিশ্বজোড়া সম্মান
সত্যজিৎ রায় জীবদ্দশায় বহু আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে—

  • অ্যাকাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (Honorary Oscar, 1992)

  • ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারত রত্ন’ (1992)

  • পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ

  • বিফা, বার্লিন, ভেনিস সহ বহু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার

তিনি ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম সত্যিকারের বিশ্বদূত, যিনি সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে ভারতীয় সংস্কৃতি ও মানবিক চেতনার বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের প্রতিটি সিনেমায় ছিল সমাজের প্রতিফলন। তিনি ছোট ছোট মানুষের গল্প, শহর ও গ্রামজীবনের দ্বন্দ্ব, নারীর স্বাধীনতা, শ্রেণীসংঘাত, এবং আত্মবিশ্বাসের সংগ্রামকে অসাধারণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে তুলে ধরেছিলেন।

তাঁর ক্যামেরা কখনও মেলোড্রামা খুঁজত না, বরং সংযত, নান্দনিক ভাষায় বলত গভীর কথা। এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে পৃথক করেছে সমসাময়িক অনেক পরিচালকের থেকে।

আজকের প্রজন্মের কাছে সত্যজিৎ
নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে আজও সত্যজিৎ রায়ের প্রভাব সুস্পষ্ট। অনীক দত্ত থেকে শুরু করে সৃজিত মুখার্জি, শ্যাম বেনেগাল, অনুরাগ কাশ্যপ—সকলেই কোনও না কোনওভাবে তাঁর কাজ থেকে প্রভাবিত।

এ বছর জন্মদিন (Satyajit Ray 104) উপলক্ষে তাঁর দুর্লভ পত্রপত্রিকা, ছবির স্ক্রিপ্ট ও ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের ডিজিটাল প্রদর্শনীও শুরু হয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে


সত্যজিৎ রায় শুধু একজন পরিচালক নন, তিনি বাংলা ও ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো মানে, নিজের শিকড়ে ফিরে তাকানো।

তাঁর সিনেমা শুধু দেখার জন্য নয়, ভাবার জন্য—চিন্তার জন্য। তাই আজও তিনি সমকালীন, আজও তিনি প্রাসঙ্গিক।

#SatyajitRay104 #RayCinemaLives #PatherPanchaliLegacy #BengalPride

আরও পড়ুন :

WestBengal Board Results 2025 : মেধাতালিকায় এবারও কলকাতাকে টেক্কা দিল জেলা

উদ্বোধনেই ২ লক্ষ পুণ্যার্থীর ঢল, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন কখন?

ad

আরও পড়ুন: