Kareena Kapoor Fitness
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : বলিউডের ‘বেবো’ নামেই পরিচিত কারিনা কাপুর খান শুধু একজন অভিনেত্রী নন, ভারতীয় সিনেমার স্টাইল আইকন, ফিটনেস আইডল এবং এক অনবদ্য প্রজন্মের প্রতীক। বয়স ৪৫ পেরিয়েও তার সৌন্দর্য, উজ্জ্বল ত্বক ও ফিটনেস আজও নবাগতা নায়িকাদের টক্কর দেয়। গত দুই দশক ধরে রূপালি পর্দায় নিজের অবস্থান ধরে রাখা এই তারকা যেন বয়সকে হার মানিয়ে এক নতুন বার্তাই দিচ্ছেন – বয়স মাত্র একটি সংখ্যা (Uncover the secrets behind)।
সম্প্রতি এই তারুণ্য ধরে রাখার রহস্য নিয়ে মুখ খুলেছেন তার দীর্ঘদিনের সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ ঋজুতা দিওয়েকার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কারিনা যেমন খেতে ভালোবাসেন, তেমনই তার খাদ্যাভ্যাসে থাকে শৃঙ্খলা ও নিয়ম। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে নিয়মিত একই রকম সাদাসিধে খাবার খেয়ে নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রেখেছেন তিনি।
কাকা-ভাইঝির রোমান্স দেখলে সমাজে ভুল বার্তা যাবার অজুহাতে করিশ্মা বাদ পড়েন ‘হেন্না’ ছবি থেকে
এক সময় ছিলেন খামারের কৃষক, এখন তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে সুপারস্টার!
দৈনিক ডায়েটে খিচুড়ি ও ঘি – ফিটনেসের মূল চাবিকাঠি
ঋজুতা জানান, ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টশন’ ছবির সময় থেকেই কারিনা তার রাতের খাবারে কোনও পরিবর্তন আনেননি। তিনি প্রতি রাতে খিচুড়ি খান, যা তৈরি হয় ডাল, ভাত, ঘি এবং হালকা মশলা দিয়ে। এই সহজপাচ্য খাবারই তার হজমশক্তি ঠিক রাখে, ত্বকে আনে উজ্জ্বলতা এবং শরীরকে দেয় প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
এছাড়া ঘি তার খাদ্যতালিকার একটি অপরিহার্য অংশ। অনেকেই মনে করেন ঘি মোটা করে, কিন্তু ঋজুতা বলছেন, “সঠিক পরিমাণে খেলে ঘি শরীরের হরমোন ব্যালেন্স করে এবং স্কিন টোন ও চুলে উজ্জ্বলতা আনে।” তৈমুরের জন্মের পর কারিনাকে নিয়ম করে ঘি খাওয়ার পরামর্শও তিনি দেন।
চিনির ভয় নয়, ভারসাম্যই আসল
বর্তমান সময়ের অনেকেই ‘নো সুগার ডায়েট’ অনুসরণ করেন। কিন্তু কারিনার ডায়েট সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি পরিমিত পরিমাণে চিনি খান এবং মিষ্টি খাবার উপভোগ করেন। ঋজুতার ভাষায়, “সঠিক পরিমাণে চিনি শরীরের জন্য ডিটক্স হিসেবে কাজ করে। তাই কারিনা মাঝে মাঝে মিষ্টি বা চকলেট পেস্ট্রি খেতে পছন্দ করেন।”
তার এই ব্যালান্সড ডায়েটেই লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ফিট ও প্রাণবন্ত থাকার রহস্য। ডায়েটে নিজেকে কষ্ট না দিয়ে, নিজের পছন্দের খাবার খেয়ে কীভাবে ফিট থাকা যায়, তা কারিনার জীবনযাপন থেকেই শিখতে হবে।
নিয়মিত শরীরচর্চা ও ধ্যানচর্চাও রয়েছে রুটিনে
খাবারের পাশাপাশি, শরীরচর্চাও কারিনার রোজকার জীবনের অংশ। তিনি প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা যোগব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট করেন। ধ্যানচর্চা, প্রপার স্লিপ রুটিন এবং পরিবারকে সময় দেওয়াও তার ফিটনেসের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ব্যালান্স রেখেই নিজের মানসিক শান্তি রক্ষা করেন তিনি।
কারিনার ফিটনেস বার্তা স্পষ্ট— খেতে হবে, কিন্তু নিয়ম মেনে। তবেই শরীর-মন থাকবে সুস্থ ও সতেজ।
আরও পড়ুন :
পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পিছনে পাকিস্তানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব
ভারতের ইতিহাসে আরেকটি গৌরবময় অধ্যায়: মহাকাশ থেকে সফলভাবে ফিরে এলেন শুভাংশু শুক্লা