CoronaAlert2025
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ১১ জুন ২০২৫ : ভারতে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট-এর প্রভাবে সংক্রমণের হার আবারও বাড়ছে (CoronaAlert2025)। যদিও পরিস্থিতি এখনও মহামারি পর্যায়ে পৌঁছায়নি, তবুও বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই সাবধান হওয়া এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র পথ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, যেগুলো মেনে চললে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পাবে।
করোনার BA.2.86 ও FLiRT ভ্যারিয়েন্টসহ একাধিক নতুন মিউটেশন ধরা পড়েছে বিভিন্ন দেশে। যদিও এগুলোর গুরুতর সংক্রমণ ক্ষমতা এখনও কম, তবে উচ্চ সংক্রমণ হার এবং দ্রুত ছড়ানোর প্রবণতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সংক্রমণ ফ্লুর মতো উপসর্গ দিচ্ছে, তবে বয়স্ক, শিশুসন্তান এবং কো-মর্বিডিটির রোগীদের জন্য তা গুরুতর হতে পারে।”
বদ্ধ ও জনবহুল স্থানে থাকলে অবশ্যই সার্জিক্যাল মাস্ক বা N95 ব্যবহার করুন।
হাসপাতালে রোগী দেখা বা নিজে চিকিৎসা নিতে গেলে মাস্ক বাধ্যতামূলক করুন।
বাইরে থেকে ফিরে বা কিছু খাওয়ার আগে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন সঙ্গে, বিশেষ করে ভ্রমণের সময়।
১ মিটার (৩ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখুন যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে।
হাঁচি-কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে নিন।
প্রতিদিন অন্তত কিছুক্ষণ জানালা খুলে রাখুন যেন ঘরের ভিতরে বাইরের বাতাস ঢুকতে পারে।
গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দি বা স্বাদ/গন্ধ না পাওয়ার মতো উপসর্গ থাকলে পরীক্ষা করান ও বাড়িতেই বিশ্রাম নিন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ফ্লু ও কোভিডের আপডেটেড টিকা এখন গ্রহণ করা প্রয়োজন, বিশেষ করে যাদের বয়স ৬০-র ওপরে বা যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা ফুসফুসের সমস্যা আছে।
ভারতে পুনরায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে কিছু এলাকায়। সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ রাখুন।
সুষম খাদ্য খান: প্রতিদিন শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খান।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: হাঁটা, যোগব্যায়াম বা হালকা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ।
ঘুম যথেষ্ট নিন: দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা।
ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন: ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে।
লকডাউন না হলেও নতুন সংক্রমণের খবরে অনেকেরই উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
“চাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।”
ধ্যান ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন।
প্রয়োজন হলে কাউন্সেলরের সাহায্য নিন।
যেসব দেশে সংক্রমণ বেশি (যেমন থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অঞ্চল), সেখানে ভ্রমণের আগে ভিসা ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক তথ্য ভালোভাবে জেনে নিন। ভারত সরকার দেশের বিভিন্ন বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার ও কোভিড নজরদারি টিম নিয়োগ করেছে।
করোনা এখন আর আগের মতো অজানা আতঙ্ক নয়। তবে তা কখন কীভাবে রূপ পাল্টাবে, তা নিশ্চিত নয়। তাই সচেতন থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ, ভিড়, অবহেলা আর গুজব এড়িয়ে চলুন।
নিজে সতর্ক থাকুন, পরিবারকে নিরাপদে রাখুন।
আরও পড়ুন :
ধোনিকে পকেটমার বললেন রবি শাস্ত্রী!