Breaking News

দুর্গাপুজো পুরোহিত আচরণবিধি

হাত-পা না ধোয়া, চা, ধূমপান ও মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, এ বার আদর্শ আচরণবিধি দুর্গাপুজোতেও

শোভাবাজার রাজবাড়িতে সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা অ্যাকাডেমি দুর্গাপুজোর আগে পুরোহিতদের আদর্শ আচরণবিধি শেখাচ্ছে। হাত-পা না ধোয়া, চা বা ধূমপান, মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

দুর্গাপুজো পুরোহিত আচরণবিধি Explained

দুর্গাপুজো পুরোহিত আচরণবিধি

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : দুর্গাপুজো শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। প্রতি বছর হাজার হাজার মণ্ডপে দেবীর আরাধনা হয়। তবে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে—পুরোহিতরা পূজা চলাকালীন এমন সব আচরণ করেন, যা যজমান ও ভক্তদের বিরক্তির কারণ হয়। তাই এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা অ্যাকাডেমি। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী শোভাবাজার রাজবাড়িতে তারা আয়োজন করেছে পুরোহিতদের আদর্শ আচরণবিধি শেখানোর বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির


প্রশিক্ষণের সময় ও স্থান

  • শুরু: ৩ সেপ্টেম্বর

  • শেষ: ১১ সেপ্টেম্বর

  • স্থান: শোভাবাজার রাজবাড়ি, কলকাতা
    এই প্রশিক্ষণে প্রায় ১৫০ জন পুরোহিত অংশ নিচ্ছেন।


 কী শেখানো হচ্ছে এই প্রশিক্ষণে?

  1. পূর্ণাঙ্গ পূজাপদ্ধতি:
    দেবীর বোধন থেকে শুরু করে চণ্ডীপাঠ, নবমীর হোম, বিসর্জন—সবকিছু হাতেকলমে শেখানো হচ্ছে।

  2. আচরণবিধি:
    পুরোহিতদের যজমান ও ভক্তদের সামনে কেমন ব্যবহার করা উচিত, সেই নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে।

    • মণ্ডপে এসে হাত-পা না ধুয়ে বসা যাবে না।

    • পূজা চলাকালীন চা পান, ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

    • সুতির পোশাক পরা যাবে না; পরিষ্কার ও উপযুক্ত পোশাক পরতে হবে।

    • পূজার সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।

  3. শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা:
    পূজার পরিবেশকে পবিত্র রাখতে আচরণ ও পোশাক উভয় ক্ষেত্রেই শৃঙ্খলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।


 কেন এই প্রশিক্ষণ দরকার হলো?

সর্বভারতীয় প্রাচ্যবিদ্যা অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ জয়ন্ত কুশারী জানিয়েছেন—

“অনেক যজমান অভিযোগ করেছেন, পূজা চলাকালীন পুরোহিতরা অশোভন আচরণ করেন। ফলে দেবীর আরাধনায় ভক্তদের মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই আচরণবিধির ওপর জোর দিয়েই এ বার প্রশিক্ষণের আয়োজন।”

এই প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া পুরোহিতদের জন্য সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে শর্ত হলো, যাঁরা নিয়মিত উপস্থিত থাকবেন, শুধু তাঁরাই শংসাপত্র পাবেন। মাঝপথে অনুপস্থিত থাকলে কোনো পুরোহিতকে শংসাপত্র দেওয়া হবে না।

এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো—

  • দুর্গাপুজোর পবিত্র পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখা।

  • যজমান ও পুরোহিতদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা।

  • প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজার সঠিক নিয়ম-নীতি ও আচরণবিধি অনুসরণ করা।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে, এবার পুজোয় আর অভিযোগ আসবে না পুরোহিতদের অনভিপ্রেত আচরণ নিয়ে।

আরও পড়ুন :

গত পাঁচ বছরে বিসিসিআই-এর আয় ১৪,৬২৭ কোটি টাকা, ব্যাংক ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকায়।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন বাণিজ্যিক অংশীদার নির্বাচন তদারকির জন্য তিন সদস্যের প্যানেল গঠন করল AIFF; সুপার কাপের তারিখ ঘোষণা

ad