Breaking News

Centenarians

বিশ্বে বাড়ছে শতবর্ষী মানুষের সংখ্যা, ২০৩০ সালের মধ্যেই ছোঁবে ১০ লাখের ঘর

গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছর, ২০৫০ সালে হতে পারে ৭৭

Centenarians: A Growing Global Population %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Centenarians

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: এক সময় ১০০ বছর বেঁচে থাকা ছিল কল্পনার মতো। কিন্তু সময় বদলে গেছে। উন্নত চিকিৎসা, পুষ্টিকর খাদ্য ও স্বাস্থ্যসচেতন জীবনযাপনের ফলে শতবর্ষী মানুষ আর বিরল ঘটনা নয়। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য যে, বর্তমানে বিশ্বে শতবর্ষী (Centenarians) মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ৮৮ হাজার। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে

জাতিসংঘ বলছে, এখন যাদের বয়স ১০০ বছরের ওপরে, তারা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ০.০০৭ শতাংশ। যদিও সংখ্যাটা এখনও খুব কম, তবে বৃদ্ধির হার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

আধুনিক যুগে মানুষের গড় আয়ুর হিসাব শুরু হয় ১৯৬২ সাল থেকে। সেসময় গড় আয়ু ছিল মাত্র ৫২ বছর। ২০২৪ সালের হিসাবে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছর। জাতিসংঘের জনসংখ্যাবিষয়ক দফতরের পূর্বাভাস, ২০৫০ সালের মধ্যে গড় আয়ু হতে পারে ৭৭ বছর

এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করছেন—

  • চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন

  • সংক্রামক রোগের নিয়ন্ত্রণ

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা

  • মানসিক চাপ কমানো

  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও ব্যায়াম

বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে শতবর্ষী (Centenarians) মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।

যে ১০ দেশে মোট জনসংখ্যায় মহিলার অনুপাত বেশি!

মঙ্গলবার একশ দিন পার করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, অতিষ্ঠ বিশ্ব

ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেমোগ্রাফিক স্টাডিস (INED) ২০২৪ সালে জানায়, ২০২৩ সালে জন্ম নেওয়া মেয়েদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ এবং ছেলেদের মধ্যে দুই শতাংশ ১০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম এবং তারা জীবনের প্রতি আরও যত্নশীল হন—এই দুই কারণেই গড় আয়ু বেশি হয়।

জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের তুলনায় বেশি। এর ফলে সমাজে এক নতুন জনমিতিক ভারসাম্য দেখা দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান, পেনশন সিস্টেম ও স্বাস্থ্যসেবায় প্রভাব ফেলবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন পরিবর্তনের জন্য সরকারগুলোর এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত—স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করা, প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো এবং কর্মক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার মতো নীতিমালায় জোর দেওয়া জরুরি।

১০০ বছর বেঁচে থাকা আর ‘অসাধ্য’ নয়। তবে তা অর্জন করতে হলে চাই সুশৃঙ্খল জীবন, স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং সময়মতো চিকিৎসা। জনসংখ্যার এই নতুন রূপ বৈশ্বিক সমাজকে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার মুখে দাঁড় করিয়েছে। ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে আরও বেশি বয়স্ক, কিন্তু যদি স্বাস্থ্যবান হয়, তাহলে এই প্রবীণ সমাজ হতে পারে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এক বিশাল সম্পদ।

আরও পড়ুন :

সূর্য অস্ত যায় না! পৃথিবীর ৬টি বিস্ময়কর স্থান যেখানে দিন কখনো শেষ হয় না

কংগ্রেসের তুরস্ক অফিস সংক্রান্ত ভুয়ো খবর প্রচার, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইল অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক

ad

আরও পড়ুন: