IndiaCovidUpdate
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রনের চারটি সাব-ভেরিয়েন্ট, যা দেশটির স্বাস্থ্য মহলে আবারও কিছুটা উদ্বেগ তৈরি করেছে (IndiaCovidUpdate)।
তবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. রাজীব বেহল আশ্বস্ত করেছেন, নতুন ভেরিয়েন্টগুলোর তীব্রতা কম এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয়ের কিছু নেই। তার ভাষায়—“এই ভেরিয়েন্টগুলো গুরুতর নয় এবং ওমিক্রনেরই সাব-ভেরিয়েন্ট। এখন পর্যন্ত ভয়ের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।”
পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারত থেকে নেওয়া নমুনাগুলোর জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এই সাব-ভেরিয়েন্টগুলোর অস্তিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। আইসিএমআর জানিয়েছে, বর্তমানে দেশজুড়ে নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোনো নতুন বা বিপজ্জনক ভেরিয়েন্ট থাকলে তা দ্রুত শনাক্ত করা যায়।
ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দিল্লিতে ১০৪টি, কেরালায় ৪৩০টি এবং মহারাষ্ট্রে ২০৯টি কোভিড সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের পরিস্থিতিও নিচে দেওয়া হলো:
রাজ্য | নতুন সংক্রমণ |
---|---|
পশ্চিমবঙ্গ | ১২ |
রাজস্থান | ১৩ |
উত্তরপ্রদেশ | ১৫ |
তামিলনাড়ু | ৬৯ |
কর্ণাটক | ৪৭ |
গুজরাট | ৮৩ |
সবমিলিয়ে ভারতজুড়ে সক্রিয় সংক্রমণের সংখ্যা ১,০০৯—যদিও তুলনামূলকভাবে এ সংখ্যা এখনও নিয়ন্ত্রণে।
ICMR জানিয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভেইলেন্স প্রোগ্রাম (IDSP)-এর আওতায় সংক্রমণের গতিবিধি ও ভেরিয়েন্টের ধরন মনিটরিং করা হচ্ছে। ড. রাজীব বেহল বলেন, “প্রথমে সংক্রমণ বাড়ে দক্ষিণ ভারতে, তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম ও এখন উত্তর ভারতে।”
তবে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা উপসর্গ রয়েছে, যার জন্য প্রয়োজন হয়নি জটিল চিকিৎসার।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাড়ছে কোভিড-১৯, সতর্ক বার্তা বিশেষজ্ঞদের
বেঙ্গালুরুতে ৮ মাসের শিশুর শরীরে মিলল এইচএমপি ভাইরাস! স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা শুরু
বিশেষজ্ঞরা আবারও টিকা নেওয়ার গুরুত্ব, মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। যেহেতু ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টগুলি দ্রুত ছড়াতে পারে, তাই অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় রাখতে বলছেন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভেরিয়েন্টগুলোর উপর নজর রাখছে। যদিও ভারতের সাম্প্রতিক সংক্রমণ বৃদ্ধিকে তারা এখনও “লোকালাইজড স্পাইক” হিসেবে দেখছে, যার তীব্রতা কম।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা ও প্রস্তুতি। ভারতের অভিজ্ঞতা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও আগাম নজরদারির ব্যবস্থা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন :
১৭ বছরেই ‘সুপারস্টার’! বার্সায় চোখ কপালে ওঠার মতো বেতন পাচ্ছেন ইয়ামাল
প্রতি রানে ১০ লাখ! বড় বিনিয়োগ সঠিক ছিল, না আইপিএলের ইতিহাসে “সবচেয়ে দামি ব্যর্থতা”