Breaking News

HealthySleepRoutine

রাতে ঘুমানোর সঠিক সময় কখন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমানোই শ্রেয়

রাতে দেরি করে ঘুমানো হলে হরমোন ভারসাম্য, মানসিক স্থিতি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে

HealthySleepRoutine: Tips for Better Sleep Quality %%page%% %%sep%% %%sitename%%

HealthySleepRoutine

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: ঘুম শুধু বিশ্রামের জন্য নয়, বরং এটি আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কের পুনরুদ্ধার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখা, এবং মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—রাতে ঘুমানোর (HealthySleepRoutine) আদর্শ সময় কখন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া সবচেয়ে উপযোগী । এটি আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ বা সার্কাডিয়ান রিদমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কেন রাত ১০টা-১১টার মধ্যে ঘুমানো সবচেয়ে ভালো?

বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, রাত ১০টার পর শরীর নিজে থেকেই বিশ্রামের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে। এই সময় মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে, যেটি ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়।

হজযাত্রীদের জন্য বয়স নির্ধারণ করলো সৌদি সরকার, নিবন্ধন বাধ্যতামূলক ‘আবশের’ অ্যাপে

রাতে লেবু খাচ্ছেন? জানুন এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক—বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন

ঘুমের প্রথম ধাপ, বিশেষ করে রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সময়টি সবচেয়ে গভীর ও পুনরুদ্ধারমূলক ঘুমের সময়। এই সময় শরীরে টিস্যু পুনর্গঠন, হরমোন নিঃসরণ, মস্তিষ্কের ডেটা প্রসেসিং এবং স্মৃতিগঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া ঘটে।

ঘুম কম হলে কী হয়?

প্রতিদিন অন্তত ৭–৯ ঘণ্টা ঘুম প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আদর্শ। রাত জেগে দেরিতে ঘুমাতে গেলে এই ঘুমের ঘাটতি তৈরি হয়, যা শরীরে একাধিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে:

  • হরমোন ভারসাম্য নষ্ট হয়ে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও থাইরয়েড সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

  • মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বেড়ে গিয়ে ডিপ্রেশন ও অনিদ্রার ঝুঁকি তৈরি করে।

  • ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

  • একাগ্রতা ও স্মৃতিশক্তি কমে গিয়ে দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়।

যারা রাত জেগে কাজ করেন বা ঘুমাতে দেরি হয়?

অনেকের পেশাগত কারণে রাতে জেগে কাজ করতে হয় বা ঘুমাতে দেরি হয়। এই অবস্থায় চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট এক সময়েই ঘুমানো এবং ঘুমের সময় অন্তত ৭ ঘণ্টা রাখা। সার্কাডিয়ান রিদমে ভারসাম্য বজায় রাখতে দিনের বেলায় আলো পাওয়া, রাতে মোবাইল স্ক্রিন কম ব্যবহার এবং রাতে হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

শিশু ও বয়স্কদের জন্য ঘুমের সময় আলাদা

শিশুদের জন্য ঘুমের প্রয়োজন বেশি, তাই রাত ৮টা–৯টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়াই ভালো। অন্যদিকে, বয়স্করা একটু আগে ঘুমাতে ও ভোরে উঠতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে সবার ক্ষেত্রেই ‘রুটিন মেনে চলা’ ঘুমের মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শুধু ঘুমের পরিমাণই নয়, ঘুমানোর সময়টাও স্বাস্থ্যকর জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি। রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া শরীর ও মস্তিষ্কের সর্বোত্তম বিশ্রামের জন্য সবচেয়ে কার্যকর। তাই দেরি না করে নিয়মিত ঘুমের সময় ঠিক করুন, আর জেগে উঠুন সতেজ এক সকালে।

আরও পড়ুন :

কারা রাতে দুধ খাবেন না? বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আন্তর্জাতিক চা দিবসে ‘এক কাপ ভালবাসা’ — চায়ের টানে আজও বাঙালির মন

ad

আরও পড়ুন: