UKDrought SaveWater
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ব্রিটেনে ভয়াবহ জল সংকটের আশঙ্কা ঘনিয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশটিতে ক্রমবর্ধমান খরার পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে শুধু জলের ব্যবহার কমানোই (UKDrought SaveWater) যথেষ্ট নয়, বরং ইমেইল, ফটো এবং অনলাইন ডেটা মুছে ফেলার মতো ডিজিটাল অভ্যাস পরিবর্তন করাও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রথম দর্শনে এটি অদ্ভুত শোনালেও, গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন—ডিজিটাল ডেটা সংরক্ষণে ব্যবহৃত ডেটা সেন্টারগুলো বিপুল পরিমাণ জল খরচ করে। সার্ভার ঠাণ্ডা রাখতে প্রতিদিন গ্যালন গ্যালন জল ব্যবহার হয়। ফলে, যত বেশি অপ্রয়োজনীয় ইমেইল, ছবি বা ভিডিও ক্লাউডে জমা থাকে, ততই সেই ডেটা সেন্টারগুলির ওপর চাপ বাড়ে এবং জল খরচও বাড়ে।
গত কয়েক বছরে ব্রিটেনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে খরার ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে জলের ঘাটতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশটির পরিবেশ সংস্থা ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে স্বাভাবিক ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত জল পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে, যদি না এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
একটি ইমেইল সার্ভারে সংরক্ষণের জন্য যে শক্তি খরচ হয়, তার একটি বড় অংশ আসে জল-নির্ভর কুলিং সিস্টেম থেকে। বিশেষজ্ঞরা উদাহরণ দিয়ে বলেছেন—১০০০টি অপ্রয়োজনীয় ইমেইল ডিলিট করলে, একজন মানুষের বার্ষিক জল সাশ্রয়ের সমপরিমাণ জল বাঁচানো সম্ভব হতে পারে।
জয়সলমীরের মাটি থেকে এত বড় জলের ফোয়ারা কিভাবে বেরিয়ে এল? সরস্বতী নদী নিয়ে এত আলোচনা কেন?
ফলে, অপ্রয়োজনীয় ডেটা মুছে ফেলা, ব্যাকআপ ফাইল হ্রাস করা এবং অল্প ডেটা ব্যবহার করার মতো সচেতনতা ভবিষ্যতে জল বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
দৈনন্দিন জীবনে জলের ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় ইমেইল, ছবি ও ভিডিও ক্লাউড থেকে মুছে ফেলতে হবে।
জল-সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দিতে হবে।
ডেটা সেন্টারগুলোতে বিকল্প কুলিং ব্যবস্থা (যেমন—এয়ার কুলিং বা পুনর্ব্যবহৃত জল ব্যবহার) চালু করতে হবে।
ইতিমধ্যেই সরকার জলের অপচয় রোধে সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছে। তবে এবার বিশেষজ্ঞরা সাধারণ মানুষকেও ডিজিটাল দুনিয়ায় দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন :
ট্রাম্প–পুতিন–জেলেনস্কি ইস্যুতে নতুন মোড় : ইউক্রেনকে আরও জায়গা ছাড়তে হবে, দাবি ক্রেমলিনের
মেলবোর্নে সেরা অভিনেতা অভিষেক বচ্চন, ছেলের প্রশংসায় অমিতাভের আবেগঘন বার্তা