winter disease and vegetables
ক্লাউড টিভি ডেক্স : শীতকাল মানেই বাজারে নানান জাতের সবজি সমাহার। আর এই শীতকালীন সবজিতে (Winter Disease and Vegetables) রয়েছে প্রচুর পরিমাণ বিটা-ক্যারোটিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, আঁশ, ভিটামিন ও মিনারেল। কিন্তু শীতে কোনো কোনো অসুখে কিছু কিছু সবজি (Winter Disease and Vegetables) আছে যেগুলো খেতে মানা। আসুন জেনে নিই এ সম্পর্কে—
ফুলকপি ও বাঁধাকপি:
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে, ফুলকপি–বাঁধাকপি তাঁদের থাইরয়েডের আয়োডিন ব্যবহার করার ক্ষমতাকে বাধা দিতে পারে। সালাদ হিসেবে খাওয়া যাবে না। তবে অন্যান্য সবজির সঙ্গে সামান্য খেলে ক্ষতি নেই।
পালংশাক:
পালংশাকে যথেষ্ট পরিমাণ মিনারেল, বিশেষ করে পটাশিয়াম থাকে। কিডনির রোগে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকলে পালংশাক খাওয়া যাবেনা।
গাজর:
বিটা-ক্যারোটিনের চমৎকার উৎস গাজর। এটি শরীরে প্রবেশ করে ভিটামিন এ–তে রূপান্তরিত হয়। গর্ভস্থ শিশুর চোখ ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে ভিটামিন এ অপরিহার্য। তবে প্রয়োজনীয় পরিমাণের বেশি ভিটামিন এ ভ্রূণের বিকাশ ও বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
x (twitter) – https://x.com/cloudTV_NEWS
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে যে ‘মোদিবিহীন’ ফর্মুলা কার্যকর হয়েছে, বাংলার ক্ষেত্রেও কি তেমনই ভাবছে গেরুয়া বাহিনী?
ব্রকলি:
ব্রকলিতে উচ্চ মাত্রার পিউরিন রয়েছে, যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতি বাড়াতে পারে। তাই গাউট (গেঁটে বাত) রোগীদের জন্য ব্রকলি খাওয়া সীমিত করা উচিত। ফুলকপির ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য।
নতুন আলু:
শীত এলেই বাজারে আসে নতুন আলু l নতুন আলুর স্বাদ আমরা সবাই নিয়ে থাকিl তবে যে আলুই হোক, ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত কম করে খাওয়া। কারণ, আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। রক্তের গড় শর্করা এইচবিএ১সি লেভেল ৭-এর নিচে থাকলে দিনে এক–দুই টুকরা আলু খেতে পারেন। এর বেশি নয়l তবে এইচবিএ১সি লেভেল ৯ বা ১০ এর ওপরে থাকলে আলু না খাওয়াই উচিত।
মটরশুঁটি ও মুলা:
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় এখন অনেকেই ভুগছেন। এ সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁদের মটরশুঁটি ও মুলা ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো পেটে গ্যাস সৃষ্টিকারী সবজিও খুব বেশি না খাওয়াই ভালো।