Breaking News

Biswas Kumar Ramesh

“আমি বুঝতে পারিনি কীভাবে বেঁচে গেলাম!” — আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া বিশ্বাস কুমার

বিশ্বাস কুমার রমেশ, ব্রিটেনপ্রবাসী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী

Biswas Kumar Ramesh Survives Horrific Explosion %%page%% %%sep%% %%sitename%%

Biswas Kumar Ramesh

ক্লাউড টিভি | আহমেদাবাদ : আহমেদাবাদের আকাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তেই আগুনের বলয়ে ঢেকে যায় চারদিক। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে পোড়া ধাতুর গন্ধ, আতঙ্কিত মানুষের কান্না আর মৃত্যুর হাহাকার। এই বিভীষিকার মধ্যেই এক অলৌকিক ঘটনা—এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের মধ্যে থেকে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে এলেন একজন যাত্রী। নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ (Biswas Kumar Ramesh)। তিনিই সেই একমাত্র যাত্রী, যিনি এই মৃত্যুকূপ থেকে জীবন্ত ফিরে এসেছেন।

বিশ্বাস কুমার রমেশ, বয়স ৪০, পেশায় এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ব্রিটেনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। কর্মসূত্রে মাঝেমধ্যেই ভারত সফরে আসেন। এইবার গুজরাটে এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্যই তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 নম্বর বিমানে উঠেছিলেন।

তিনি বসেছিলেন বিমানের ১১এ আসনে। তাঁর পরনে ছিল একটি সাদা রঙের টি-শার্ট এবং কালো ট্রাউজার্স। এই পোশাকেই তাঁকে রক্তমাখা অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায় ধ্বংসস্তূপ থেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “সে যেন সিনেমার কোনও দৃশ্য! আগুন, ধোঁয়া, চিত্কার আর তার মধ্যেই হঠাৎ একজন রক্তাক্ত লোক হেঁটে আসছেন!”

হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বিশ্বাস কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন,

“আমি জানি না কীভাবে বেঁচে গেলাম। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি, তারপর একটা বিকট শব্দ, আলো-আঁধারির মাঝে বিমানের জানালা ভেঙে গেল। আমি শুধু চোখ বন্ধ করে ছিলাম… তারপরে দেখি আমি মাটিতে পড়ে আছি, আশেপাশে ধোঁয়া আর আগুন। কোনওভাবে জানালার পাশ দিয়ে বেরিয়ে আসি। ঈশ্বর আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন।”

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে, বুকের পাঁজরে হালকা চোট রয়েছে। কিন্তু মস্তিষ্ক বা অভ্যন্তরীণ কোনও জখম নেই। তিনি এখন “আউট অফ ডেঞ্জার”, তবে মানসিকভাবে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছেন।

আহমেদাবাদের আকাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মুহূর্তেই আগুনের বলয়ে ঢেকে যায় চারদিক। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে পোড়া ধাতুর গন্ধ, আতঙ্কিত মানুষের কান্না আর মৃত্যুর হাহাকার। এই বিভীষিকার মধ্যেই এক অলৌকিক ঘটনা—এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের মধ্যে থেকে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে এলেন একজন যাত্রী। নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ। তিনিই সেই একমাত্র যাত্রী, যিনি এই মৃত্যুকূপ থেকে জীবন্ত ফিরে এসেছেন।

বিশ্বাস কুমার রমেশ, বয়স ৪০, পেশায় এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ব্রিটেনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। কর্মসূত্রে মাঝেমধ্যেই ভারত সফরে আসেন। এইবার গুজরাটে এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্যই তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার AI-171 নম্বর বিমানে উঠেছিলেন।

তিনি বসেছিলেন বিমানের ১১এ আসনে। তাঁর পরনে ছিল একটি সাদা রঙের টি-শার্ট এবং কালো ট্রাউজার্স। এই পোশাকেই তাঁকে রক্তমাখা অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায় ধ্বংসস্তূপ থেকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “সে যেন সিনেমার কোনও দৃশ্য! আগুন, ধোঁয়া, চিত্কার আর তার মধ্যেই হঠাৎ একজন রক্তাক্ত লোক হেঁটে আসছেন!”

“আমি কেবল চোখ বন্ধ করেছিলাম”

হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বিশ্বাস কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন,

“আমি জানি না কীভাবে বেঁচে গেলাম। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি, তারপর একটা বিকট শব্দ, আলো-আঁধারির মাঝে বিমানের জানালা ভেঙে গেল। আমি শুধু চোখ বন্ধ করে ছিলাম… তারপরে দেখি আমি মাটিতে পড়ে আছি, আশেপাশে ধোঁয়া আর আগুন। কোনওভাবে জানালার পাশ দিয়ে বেরিয়ে আসি। ঈশ্বর আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন।”

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে, বুকের পাঁজরে হালকা চোট রয়েছে। কিন্তু মস্তিষ্ক বা অভ্যন্তরীণ কোনও জখম নেই। তিনি এখন “আউট অফ ডেঞ্জার”, তবে মানসিকভাবে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ফের গরমের ছুটি: ১৩ ও ১৪ জুন বন্ধ থাকবে সব সরকারি স্কুল

আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা: রানওয়ে ছাড়িয়ে ধোঁয়ার কুন্ডলি, মৃতের সংখ্যা আপাতত অজানা

অলৌকিক বেঁচে ফেরা নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বাস কুমারের আসনের অবস্থান, বিমানের ভেঙে পড়ার কোণ ও সময়, এবং তাঁর তৎপরতা—এই সব কিছুই হয়তো একত্রে কাজ করেছে।

বিশিষ্ট বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক কপিল শর্মা জানান,

“১১এ আসনটি সাধারণত বিমানের মাঝখানের একটু সামনে থাকে। ইমপ্যাক্ট সেই অংশে অপেক্ষাকৃত কম ছিল বলেই হয়তো তিনি সরাসরি আগুনের মুখোমুখি হননি। তবে এটিকে অলৌকিক বলাই ঠিক হবে। কারণ এমন ঘটনা এক দশকে একবারও ঘটে না।”

বিশ্বাস কুমারের বেঁচে যাওয়া এখন সামাজিক মাধ্যমে এক আবেগঘন গল্প। অনেকে তাঁকে “India’s Miracle Man” বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, “একজন বেঁচে আছেন বলেই আমরা দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকে একটু হলেও উপলব্ধি করতে পারছি।” তাঁর ছবি, রক্তমাখা পোশাকে হাঁটতে থাকা ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে।

বিশ্বাস কুমারের এই অলৌকিক বেঁচে যাওয়ায় যেমন প্রশ্ন উঠেছে বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে, তেমনই তাঁর জীবনেও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। তিনি জানিয়েছেন,

“আমি প্রতিদিনই এখন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাব। হয়তো কোনও কারণেই আমাকে রেখে দেওয়া হয়েছে।”

বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বাস কুমারের আসনের অবস্থান, বিমানের ভেঙে পড়ার কোণ ও সময়, এবং তাঁর তৎপরতা—এই সব কিছুই হয়তো একত্রে কাজ করেছে।

বিশিষ্ট বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক কপিল শর্মা জানান,

“১১এ আসনটি সাধারণত বিমানের মাঝখানের একটু সামনে থাকে। ইমপ্যাক্ট সেই অংশে অপেক্ষাকৃত কম ছিল বলেই হয়তো তিনি সরাসরি আগুনের মুখোমুখি হননি। তবে এটিকে অলৌকিক বলাই ঠিক হবে। কারণ এমন ঘটনা এক দশকে একবারও ঘটে না।”

বিশ্বাস কুমারের বেঁচে যাওয়া এখন সামাজিক মাধ্যমে এক আবেগঘন গল্প। অনেকে তাঁকে “India’s Miracle Man” বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, “একজন বেঁচে আছেন বলেই আমরা দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকে একটু হলেও উপলব্ধি করতে পারছি।” তাঁর ছবি, রক্তমাখা পোশাকে হাঁটতে থাকা ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে।

বিশ্বাস কুমারের এই অলৌকিক বেঁচে যাওয়ায় যেমন প্রশ্ন উঠেছে বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে, তেমনই তাঁর জীবনেও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। তিনি জানিয়েছেন,

“আমি প্রতিদিনই এখন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাব। হয়তো কোনও কারণেই আমাকে রেখে দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন :

রেকর্ড দামে বিক্রি রাফায়েল নাদালের ঐতিহাসিক র‍্যাকেট, ফরাসি ওপেন ফাইনালের স্মৃতি এবার সংগ্রাহকের ঘরে

সাদার্ন সমিতির দায়িত্ব মহিলা কোচের হাতে: কলকাতা লিগে ইতিহাস গড়তে চলেছেন সুজাতা কর

ad

আরও পড়ুন: