Breaking News

IndiaPovertyReduction

দারিদ্র দূরীকরণে বিশ্বব্যাঙ্কের স্বীকৃতি: ভারতের দশকে বড় সাফল্য

এক দশকে ২৭ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত: বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্টের দাবি

IndiaPovertyReduction: A Decade of Progress %%page%% %%sep%% %%sitename%%

IndiaPovertyReduction

ক্লাউড টিভি | বিশেষ প্রতিবেদন : ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল বিশ্বব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্ট। ‘Extreme Poverty’ বা ‘চরম দারিদ্র’ দূরীকরণে এক দশকের ব্যবধানে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। বিশ্বব্যাঙ্কের মতে, ২০১১-১২ সালে যেখানে দেশের চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৪.৭ কোটি, ২০২২-২৩ সালে তা নেমে এসেছে মাত্র ৭.৫ কোটিতে (IndiaPovertyReduction)। এই সাফল্য শুধু সংখ্যার খেলাই নয়, বরং দেশের নীতিনির্ধারণ, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এবং অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণের সফল বাস্তবায়নের প্রতিফলন।

বিশ্বব্যাঙ্কের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ সালে ভারতের দারিদ্র্যের হার ছিল ২৭.১ শতাংশ। এক দশকেরও কম সময়ে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে, সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৩ শতাংশে। অর্থাৎ প্রায় ২১.৮ শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। এই সময়কালে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচ থেকে উঠে এসেছেন।

চিনতে পারছেন এই বলিউড ডিভা কে ?

মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে হারানোর ১১ বছর

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি প্রকল্প যেমন প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY), ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, আবাস যোজনা, স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ ইত্যাদি এই অগ্রগতির পিছনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে।

তবে এই সাফল্যের যাত্রাপথ অত সহজ ছিল না। ২০২০ সালের করোনা অতিমারিতে ভারতের দারিদ্র্যচিত্রে বড় ধাক্কা লাগে। বিশ্বব্যাঙ্কের ২০২২ সালের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, কোভিডের সময় অন্তত ৫.৬ কোটি মানুষ আবার দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যান। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে মোদী সরকারের নেতৃত্বে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। স্বনির্ভর ভারত অভিযানে আর্থিক সহায়তা, রেশন ব্যবস্থা এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের সম্প্রসারণে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

রিপোর্টে আরও উল্লেখযোগ্য তথ্য হল মধ্যম আয়ের শ্রেণির দারিদ্র্য হ্রাস। ২০১১ সালে যেখানে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৭.৭ শতাংশ, ২০২২-২৩ সালে তা কমে ২৩.৯ শতাংশে এসেছে। এই পরিসংখ্যান ভারতের উন্নয়ন যাত্রার গতিপথকেই তুলে ধরে, যেখানে শুধু শহর নয়, গ্রামাঞ্চলেও অর্থনৈতিক প্রগতি স্পষ্ট।

বিশ্লেষকদের মতে, ডিজিটাল ইকনমি, জনধন অ্যাকাউন্টের বিস্তার, DBT (Direct Benefit Transfer) এবং উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা এই পরিবর্তনের চালিকাশক্তি।

বিশ্বব্যাঙ্কের এই স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য গর্বের। তবে দারিদ্র্য দূরীকরণের (IndiaPovertyReduction)এই সাফল্য যেন টেকসই হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে। কারণ চরম দারিদ্র্যের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রেও আরও কাজ বাকি আছে। তবেই সত্যিকারের ‘উন্নত ভারত’ গঠনের স্বপ্ন সফল হবে।

আরও পড়ুন :

সেলেকাওয়ের দায়িত্বে আনচেলত্তির ৫ বড় চ্যালেঞ্জ – বিশ্বকাপের স্বপ্নপথ কেমন হবে ব্রাজিলের?

আবারও বিতর্কে ট্রাম্প: ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি

ad

আরও পড়ুন: