KurgTripReel NoMoreWFH
বেঙ্গালুরু, জুন ৫: বেঙ্গালুরুর এক কর্মী শুক্রবার অফিসে ‘সিক লিভ’ নেন। সহকর্মীরা ধরে নিয়েছিলেন তিনি হয়তো অসুস্থ। কিন্তু সপ্তাহান্তে ইনস্টাগ্রামে ভেসে আসে এক মন ভালো করা রিল—কুর্গ পাহাড়ে সেই কর্মীর ঘোরাঘুরি, ট্রেকিং আর কফি খাওয়ার মূহূর্তগুলো ফুটে উঠেছে একের পর এক ভিডিওতে।
সেই রিল হঠাৎই ভাইরাল হয়ে যায়। আর এখানেই বেজে ওঠে বিপদের ঘণ্টা। কোম্পানির এই আচরণকে ‘বিশ্বাসভঙ্গ’ হিসেবে দেখছে ম্যানেজমেন্ট। এর জেরে শুধু ওই কর্মীর ওপর নয়, পুরো টিমের উপরে এসে পড়ে কড়া সিদ্ধান্ত—”এখন থেকে আর WFH নয়!”
সূত্রের খবর, ওই কর্মী শুক্রবার অসুস্থতার অজুহাতে ‘সিক লিভ’ নেন। সোমবার অফিসে ফেরেন স্বাভাবিক ভঙ্গিতে। কিন্তু ততক্ষণে সহকর্মীদের কেউ একজন ইনস্টাগ্রামে দেখে ফেলেন তাঁর কুর্গ সফরের রিল। ওই ভিডিওটি শুধু ওই ব্যক্তির বন্ধুবৃত্তেই নয়, নেটদুনিয়ার চোখেও পড়ে যায়। ইনস্টাগ্রামে সেই রিল শেয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় কানাঘুষো।
শুরুতে ব্যাপারটিকে হালকা ভাবে নিলেও, বিষয়টি অফিস ম্যানেজমেন্টের নজরে আসতেই হয় বিপত্তি। সোজাসুজি জানিয়ে দেওয়া হয়—এখন থেকে কেউ WFH (Work From Home) করতে পারবেন না। এমনকি সিক লিভের ক্ষেত্রেও কঠোরতা আনছে অফিস। সঠিক মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ছাড়া কোনও ছুটির আবেদন গৃহীত হবে না।
সহকর্মীদের বক্তব্য, “ওই একজনের ভুলে আমাদের সকলের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা! এটা অন্যায়।” কেউ কেউ বলছেন, “সবাই তো এমন নয়। সবার জন্য এক নিয়ম চালু করা মানে অসহযোগিতা।” আবার কেউ ঠাট্টার ছলে বলছেন, “Instagram রিল বানানোর নেশা এখন চাকরিও কেড়ে নিচ্ছে!”
এই ঘটনা আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে ব্যক্তিগত মুহূর্ত শেয়ার করা, কর্মজীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন ছুটি বা WFH-এর মত ‘বিশ্বাস’ভিত্তিক সুবিধা কর্মীদের দেওয়া হয়, তখন তা অপব্যবহারের ফল গোটা টিমকেই ভোগ করতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, “অফিসের এমন কড়া পদক্ষেপ হয়তো প্রাথমিকভাবে যুক্তিসঙ্গত মনে হয়। কিন্তু এক জনের জন্য পুরো টিমকে শাস্তি দেওয়া কখনও দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে না।”
আরও পড়ুন :
অরিন্দম শীলের নতুন ছবি ‘কর্পূর’: বাম আমলের শিক্ষা দুর্নীতি আর মনীষা অন্তর্ধান এবার রূপালি পর্দায়