Breaking News

NortheastIndiaFloods

নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টির দাপটে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারত — ভূমিধস ও বন্যায় মৃত অন্তত ৩৪, তছনছ জীবন ও পরিকাঠামো

আগামী ৩ জুন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে

NortheastIndiaFloods: A Decade's Worst Disaster %%page%% %%sep%% %%sitename%%

NortheastIndiaFloods

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতের ওপর দিয়ে যে বৃষ্টির তাণ্ডব চলছে, তা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে অন্তত ৩৪ জনের, ধ্বংস করেছে হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তা, সেতু ও চাষজমি। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর ও সিকিম — ছয় রাজ্যে চলছে যুদ্ধকালীন ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান। বন্যা ও ভূমিধসের (NortheastIndiaFloods) সম্মিলিত প্রভাবে এই অঞ্চলে দেখা দিয়েছে গোটা দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়

মায়ানমারে মার্কিন ‘ছায়াযুদ্ধ’ পরিকল্পনা: উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

হিমাচলে হড়পা বানে বিপর্যস্ত কুলু ও রামপুর, চম্বায় ধসে মৃত ১, সাত জেলায় ‘ইয়েলো’ সতর্কতা জারি

রাজ্য অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

অসম

অসমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের ১৯টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

  • ৭৬৪টি গ্রাম প্লাবিত,

  • ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন ১৫৫টি ত্রাণ শিবিরে,

  • ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধস ও ডুবে যাওয়ার ঘটনায়।
    বিশেষ করে কাছাড়, নগাঁও, বরপেটা, লখিমপুর ও ধেমাজি জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।

কামরূপ জেলার ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ধ্বসে পড়ায় পুরো অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে রেল লাইনে, ফলে রেল চলাচলও ব্যাহত।


মেঘালয়

মেঘালয়ে চলতি সপ্তাহে গড়ে ২০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভূমিধস ও বজ্রপাতে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাহাড়ি রাস্তা ধসে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়েছে গারো হিলস, ওয়েস্ট খাসি ও ইস্ট জেন্টিয়া হিলস এলাকায়। উদ্ধারকারী দল বহু এলাকায় এখনও পৌঁছাতে পারেনি।


মিজোরাম

মিজোরামের সেরচিপ ও চাম্পাই জেলায় হড়পা বান ও ভূমিধসে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি পরিবার সম্পূর্ণরূপে ভেসে গেছে ভাফাই গ্রামে। আইজলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি রিটেনশন ওয়াল ধসে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।


অরুণাচল প্রদেশ

পূর্ব কামেং, জিরো ভ্যালি ও লোয়ার সুবানসিরি জেলায় একাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের আশঙ্কা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার অভিযান চলছে।


মণিপুর

ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিম জেলার নীচু এলাকা প্লাবিত। সেনা ও NDRF মিলে প্রায় ১৫০০ মানুষকে উদ্ধার করেছে। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের পরিষেবা পুরোপুরি ব্যাহত।


সিকিম

উত্তর সিকিমে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন। ২৯ মে একটি পর্যটকবাহী গাড়ি তিস্তা নদীতে পড়ে যায়। এখনও পর্যন্ত ৮ জন নিখোঁজ। বৃষ্টির কারণে হেলিকপ্টারে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।


পরিকাঠামোগত ক্ষতি ও অবস্থা

  • বহু জায়গায় রাস্তা ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

  • বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু জেলায়।

  • কৃষি জমিতে ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর, অনেক এলাকায় পাকা ধান ও শাকসবজির ক্ষেতে জল দাঁড়িয়ে আছে।


প্রশাসনের ভূমিকা ও তৎপরতা

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি রাজ্যকে NDRF ও SDRF মোতায়েন করতে বলেছে। প্রয়োজনে বিমান বাহিনীকে সরাসরি উদ্ধার অভিযানে নামানো হবে।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা নিজ নিজ রাজ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। তারা পরিস্থিতিকে “অত্যন্ত সংকটজনক” বলে ঘোষণা করেছেন।

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর সতর্ক করেছে, আগামী ৩ জুন পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নদীগুলির জলস্তর আরও বাড়তে পারে এবং ভূমিধসের ঝুঁকিও রয়ে যাচ্ছে। মানুষকে নিচু এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন :

প্রায় ১৮ মাস ধরে প্রস্ততি, চীনের সীমান্ত ঘুরে রাশিয়ায় গোপনে প্রবেশ, ইউক্রেনের ‘স্পাইডারস ওয়েব’ অপারেশনের বিস্ফোরক সাফল্য

ঘরে এল খুদে রাজপুত্র, মাতৃসুখে পিয়া চক্রবর্তী, বাবা হলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়!

ad

আরও পড়ুন: