Sikkim Organic State
১৩ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি): ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিকিম রাজ্যটি পৃথিবীর প্রথম ১০০% জৈব রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে রাজ্য সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, নীতি ও জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে।
২০০৩ সালে সিকিম রাজ্য সরকার কৃষিতে জৈব পদ্ধতি গ্রহণের ঘোষণা করে। এরপর, রাজ্য সরকার কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ, জৈব সার সরবরাহ, গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন এবং কৃষি উপকরণের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ২০১৪ সালে, রাজ্য সরকার কৃষিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
সিকিমের এই উদ্যোগের ফলে ৬৬,০০০টি কৃষক পরিবার লাভবান হয়েছে। রাজ্যের জলাশয়গুলোর জল পরিষ্কার হয়েছে এবং কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে পর্যটকদের সংখ্যা ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে, সিকিম সরকার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) থেকে ‘ফিউচার পলিসি গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে ।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই IMF থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো ড. কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামণিয়ানকে, পুরনো মন্তব্য ভাইরাল
যুদ্ধবিরতির পরও আশঙ্কায় ভুগছেন কাশ্মীরবাসী, বাংকারে রসদ রেখে ঘরে ফেরা
সিকিমের সাফল্য দেখে বিহার, ছত্তিশগড় ও উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলোও জৈব কৃষির দিকে পদক্ষেপ নিয়েছে। বিহারে ৩০,০০০ হেক্টর জমি জৈব চাষাবাদে রূপান্তরিত হয়েছে। ছত্তিশগড়ের ১১০টি গ্রাম জৈব ঘোষণা করেছে ।
যদিও সিকিমের মডেল প্রশংসনীয়, তবে অন্যান্য রাজ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বাজার ব্যবস্থা, এবং সরকারি নীতির সমর্থন প্রয়োজন। তবে, সিকিমের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন নিয়ে জৈব কৃষি সম্ভব।সিকিমের এই মডেলটি শুধু ভারতের জন্য নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্যও একটি উদাহরণ। যদি অন্যান্য রাজ্যগুলোও সিকিমের পথ অনুসরণ করে, তবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।
#সিকিম #জৈবকৃষি #পরিবেশবান্ধব #খাদ্যনিরাপত্তা #কৃষি সংস্কার #ভারত #জৈবরাজ্য #সাসটেইনেবলফুড #FAO #GreenRevolution #Sikkim #OrganicState
আরও পড়ুন :
১৭ মে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ পুনরায় শুরু, দেখে নিন ম্যাচের সম্পূর্ণ তালিকা
বিজেপির বাঙালিয়ানা এবং রাজনীতির এল-ক্লাসিকো: মোদি বনাম মমতা