Kashmir Ceasefire
১২ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি): চার দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ-পরিস্থিতির পর আজাদ কাশ্মীরের গ্রামগুলোতে ফিরে এসেছে সাময়িক শান্তি (Kashmir Ceasefire)। রবিবার সকাল থেকে এলওসি-সংলগ্ন অঞ্চলে বড় কোনো গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া না গেলেও আতঙ্ক ও শঙ্কা কাটেনি সাধারণ মানুষের মন থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার রাত থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি আপাতত সংঘর্ষ থামালেও, বহু বাসিন্দা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না যে সংকট কেটে গেছে।
চাকোঠি, মুজাফফরাবাদ, নীলম নদী ও এর আশপাশের গ্রামগুলোতে লোকজন ধীরে ধীরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছেন। তবে প্রত্যাবর্তনের সঙ্গেই রয়ে গেছে অজানা আশঙ্কা, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা। চাকোঠি এলাকার বাসিন্দা কালা খান, যিনি আট সদস্যের পরিবার নিয়ে এলওসি-সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন, বলেন, “ভারতের ওপর আমার কোনো বিশ্বাস নেই। আমি নিশ্চিত, আবারও হামলা হবে। তাই বাড়ির পাশে বাংকার থাকা এখন আবশ্যক।”
কাশ্মীরে পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় ধসে পড়ল অর্থনীতি ও কূটনীতি: উদ্বেগে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ
কালা খানের পরিবার বিগত কয়েক রাত বাংকারেই কাটিয়েছে। কংক্রিটের ছাদের নিচে নির্মিত বাংকারে তাঁরা রসদ হিসেবে চাল, আটা, খাবারদাবার, বিছানা এবং মূল্যবান সামগ্রী মজুত রেখেছেন। গোলাবর্ষণের সময় এটাই ছিল তাঁদের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়।
প্রশাসনিক তথ্যে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলজুড়ে ১,০০০–এর বেশি বাংকার নির্মাণ করা হয়েছে, যার এক-তৃতীয়াংশ সরকারিভাবে নির্মিত। এসব বাংকারই এখন কাশ্মীরের সীমান্তবাসীদের বেঁচে থাকার ভরসা হয়ে উঠেছে।
চাকোঠির মতো পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে একসময় পর্যটন ছিল সম্ভাবনার খাত, এখন রাস্তাঘাট জনশূন্য, দোকানপাট বন্ধ। ৩০০ দোকানের মধ্যে অর্ধেকই এখনও খোলা হয়নি। সবুজ পাহাড় আর আখরোট গাছে ঘেরা এই অঞ্চল যেন এখন শুধুই অস্থিরতা আর শঙ্কার প্রতিচ্ছবি।
মুজাফফরাবাদে মোতায়েন এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেখানে একটি মসজিদে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যার ফলে তিনজন প্রাণ হারান। তবে যুদ্ধবিরতির (Kashmir Ceasefire) পর রবিবার সকাল থেকে আর কোনো নতুন হামলার খবর পাওয়া যায়নি। যদিও এই মুহূর্তের নিস্তব্ধতা সীমান্তবাসীর মনে এক অস্থায়ী স্বস্তি দিলেও, স্থায়ী শান্তির আশা এখনও অনেক দূরে।
যুদ্ধবিরতির পর মানুষজন বাংকার থেকে বেরিয়ে আসছেন ঠিকই, তবে বাংকারে তারা এখনও রসদ জমিয়ে রেখেছেন। অনেকে বলছেন, “এই মুহূর্তে কিছু না ঘটলেও, আগামী মুহূর্তেই কিছু ঘটে যেতে পারে।” এই আতঙ্ক নিয়ে ফিরছেন তাঁরা নিজেদের ঘরে।
#KashmirCeasefire #LOCtensions #BorderLife #AzadKashmir #PeaceNotWar #CeasefireFragile #KashmirConflict #BunkerLife #LineOfControl #PostConflictKashmir
আরও পড়ুন :