Breaking News

নজরুলপ্রেম

নজরুল ও নার্গিস: অমর প্রেমের এক অনুচ্চারিত ইতিহাস

নার্গিসকে লেখা নজরুলের চিঠি বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রেমপত্রের একটি

নজরুলপ্রেম: কবির জীবনের গভীর প্রেম %%page%% %%sep%% %%sitename%%

নজরুলপ্রেম

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : কাজী নজরুল ইসলাম—বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি। কিন্তু বিদ্রোহের আড়ালে ছিল এক পরিপূর্ণ হৃদয়, যেখানে দুই নারীর গভীর ছায়া (নজরুলপ্রেম) পড়েছিল আজীবন—নার্গিস ও প্রমীলা। তবে প্রমীলা ছিলেন সঙ্গিনী, আর নার্গিস ছিলেন প্রথম প্রেম, না বলা ভালবাসা আর হৃদয়ের গভীরে জাগ্রত বেদনার প্রতীক।

নার্গিস ছিলেন নজরুলের প্রথম স্ত্রী। কুমিল্লায় বিয়ের প্রথম রাতেই তিনি কবিকে হারান—সেই চলে যাওয়ার পর আর কখনও একসাথে হননি তাঁরা। নার্গিস পরে এক চিঠিতে তাঁর অভিমান, অভিযোগ আর প্রেমভরা কথা জানান নজরুলকে। আর নজরুল তার উত্তর দেন এক গানে—
“যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পার নাই, কেন মনে রাখ তারে?”

অনেকেই ভেবেছিলেন, নজরুল হয়তো নার্গিসকে ভুলে গিয়েছেন। কিন্তু সত্যি কি তাই?
না, ইতিহাস বলে ভিন্ন কথা।
প্রায় ১৫ বছর পরে নজরুল নিজেই একটি দীর্ঘ প্রেমপত্র লেখেন নার্গিসকে। সেই চিঠি বাংলা ভাষার এক অনন্য সম্পদ। সেখানে শুধু প্রেমই নয়, ছিল আত্মস্বীকৃতি, ছিল প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির গভীর আকুতি, ছিল সৃষ্টির পেছনের এক নারীর অদৃশ্য অবদানকে সম্মান জানানোর নিঃশব্দ ভাষা।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে নতুন বিধিনিষেধ: পোশাকে নগ্নতা, অতিরিক্ত দৈর্ঘ্য ও বড় ব্যাগ নিষিদ্ধ

নজরুল তীর্থ এখন থেকে হয়ে গেল SVF সিনেমা: নতুন অধ্যায়ের সূচনা নিউটাউনে

নজরুল লিখেছিলেন—
“তুমি এই আগুনের পরশ মানিক না দিলে আমি অগ্নিবীণা বাজাতে পারতাম না।”
এই একটি বাক্যই প্রমাণ করে নজরুল তাঁর বিদ্রোহ, প্রেম, সঙ্গীত—সবকিছুর প্রেরণায় নার্গিসকে কতটা অনুভব করেছেন।

নার্গিস ও নজরুলের সম্পর্ক ছিল শরীরের নয়, আত্মার। নজরুল চিঠিতে লিখেছিলেন,
“দেখা? না-ই হ’ল এ ধূলির ধরায়… তুমি যদি সত্যিই আমায় ভালবাস, আমাকে চাও, ওখান থেকেই আমাকে পাবে।”
তিনি বুঝেছিলেন, তাঁদের সম্পর্ক সংসারের গণ্ডিতে বন্দি নয়—এটা প্রেমের সেই অনন্ত ধারা, যা কালজয়ী।

দৌলতপুরে বসে নজরুল রচনা করেন ১৬০টি গান ও ১২০টি কবিতা। যার মধ্যে ‘বেদনা-অভিমান’, ‘অনাদৃতা’, ‘বিদায় বেলা’ প্রভৃতি কবিতা নার্গিসের প্রভাবে রচিত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। হয়তো নার্গিস না এলে বাংলা সাহিত্যে এই অমূল্য সৃষ্টি সম্ভব হতো না।

দুঃখজনক হলেও সত্য, জীবনের শেষ অধ্যায়ে নজরুল শায়িত হন ঢাকার মসজিদের পাশে, আর নার্গিস শায়িত হন সুদূর ম্যানচেস্টারে। দুই মহাদেশে বিচ্ছিন্ন হলেও তাঁদের আত্মা যেন চিরকাল জড়িত ছিল এক অদৃশ্য প্রেমপথে।

নার্গিস-নজরুল প্রেমকাহিনী কেবল একটি ব্যক্তিগত প্রেমগল্প নয়—এ এক কাব্যিক সত্য, এক অমর প্রেম-উপাখ্যান। তাঁদের সম্পর্ক প্রমাণ করে, ভালোবাসা কখনও কখনও মাটির পৃথিবীতে শরীরের গণ্ডিতে আবদ্ধ না থেকে রয়ে যায় চিরন্তন, নিঃশব্দ অথচ তীব্র অনুভবে।

আরও পড়ুন :

বাংলাদেশ থেকে বিদেশি স্ত্রী কেনার ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক করল ঢাকার চীনা দূতাবাস

মাঝরাস্তায় ‘বিজেপি কর্মী’র সঙ্গমের ভিডিয়ো ভিডিও ভাইরাল: নেতাকে নোটিস পাঠাল বিজেপি

ad

আরও পড়ুন: