Breaking News

world environment day

“পৃথিবী ক্লান্ত। আমরা এখনও উদাস”, এই কথাটাই যেন আয়নার মতো সামনে আনল ২০২৫-এর পরিবেশ দিবস

তরুণ প্রজন্ম এখন প্রশ্ন করছে: “বাঁচতে চাই, পরিবেশ বাঁচাও”... সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং: #ActNotPost #GreenKolkata #পরিবেশদিবস

World Environment Day: A Call to Action %%page%% %%sep%% %%sitename%%

world environment day

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : কলকাতা, একসময় গাছপালা-নদী-ছায়া ঘেরা শহর, আজ ধোঁয়ায় মোড়া, প্লাস্টিকে ঢাকা, এক বিষাক্ত নিঃশ্বাসের শহরে পরিণত হচ্ছে।বিশ্ব পরিবেশ দিবসে (world environment day) পৃথিবীর যত না উদযাপন হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি করে উঠে আসে একটা যন্ত্রণার চিত্র—আমরা নিজেরাই নিজেদের বাসস্থান ধ্বংস করছি।এবারের থিম— “Land Restoration, Desertification and Drought Resilience”—মাথায় হাত দিয়ে চিন্তা করার মতো বিষয়। কারণ, এ শুধু মরুভূমির গল্প নয়, এ শহরের মাটিও শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ নিঃশব্দে কাটা পড়ছে, জলস্তর নামছে, বাতাসে বিষ।

কলকাতার একটা সময় ছিল, যেখানে বৃষ্টির গন্ধে মাটি গান গাইত। এখন সেই মাটি উর্বরতা হারাচ্ছে। শ্যামবাজার থেকে সাউথ সিটি, বড় রাস্তা থেকে ছোট গলি—গাছ কাটার খবর যেন পাড়ার রুটিন হয়ে গেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারত দশম স্থানে, শীর্ষে আছে যারা

বিশ্বকাপ জিতে মেসিরা যে অর্থ পেয়েছে, ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ীরা তার তিনগুণ পাবে

“পরিবেশ নিয়ে কথা বললেই লোকে বলে ‘অতিরিক্ত চিন্তা করো না’—কিন্তু যেদিন নিশ্বাস নিতেই কষ্ট হবে, সেদিন চিন্তা না করে উপায় থাকবে?”—বলছিল এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

আজকের দিনে প্রশ্ন উঠছে—একটা শহরের উন্নয়ন কি কেবল কংক্রিটে হয়? উন্নয়নের নামে গাছ কাটা, নদী ভরাট, ফ্লাইওভারের নিচে ধোঁয়া জমা—এসব যদি সভ্যতা হয়, তবে সেই সভ্যতার পরিণতি মৃত্যু।তরুণ প্রজন্ম এখন কেবল ফিল্টার করা ছবিতে “Save the Earth” লিখে পোস্ট করছে না। তারা সরাসরি বলছে—“আমরা বাঁচতে চাই, শুধু জীবিত থাকতে নয়, প্রকৃতভাবে বেঁচে থাকতে চাই।”

এক মা জানালেন, “আমার বাচ্চা আজ প্রশ্ন করেছে, মা তুমি যখন ছোট ছিলে, তোমাদের পাড়ায় কত গাছ ছিল? এখন তো ও কিছুই দেখে না। এই প্রশ্ন আমার ভিতরটা কাঁপিয়ে দিল।”

এই প্রজন্ম পরিবেশের থেকে উত্তর চাইছে—“তুমি আমাদের কতদিন আর টানবে?”

কথা হচ্ছে, এই পরিবেশ দিবস যেন শুধু একদিনের পোস্টার না হয়। যেন এই চিন্তাটা গেঁথে যায় প্রতিদিনের জীবনে—জল অপচয় না করি, গাছ রোপণ করি, প্লাস্টিক বর্জন করি, আর সবচেয়ে বড় কথা—নির্বাক না থাকি।কারণ পরিবেশের বিপর্যয় এখন আর ‘দূরের খবর’ নয়। এটা আজ আমাদের রান্নাঘরে, আমাদের বাচ্চার শ্বাসে, আমাদের ভবিষ্যতের ভিতরে ঢুকে পড়েছে।এই শহর বাঁচবে কিনা, সেটা আজ আর প্রকৃতির ওপর নয়, আমাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।তাই এবার চুপ নয়, সোচ্চার হতে হবে।

শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, নিজের প্রতিদিনের কাজে, কথায়, আচরণে বুঝিয়ে দিতে হবে—“আমি আছি প্রকৃতির পাশে।”

আরও পড়ুন :

মহুয়া মৈত্র ও পিনাকী মিশ্রের ‘অপারেশন সিঁদুর’: জার্মানিতে নিভৃত বিবাহে দুই রাজনীতিকের নতুন অধ্যায়

রামের মুখে প্রাক্তন বামনাম : সাংগঠনিক রদবদলে লালমুখী হচ্ছে গেরুয়া শিবির

ad

আরও পড়ুন: