CPIM
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যসভার পাঁচটি আসনের ভোট। মেয়াদ শেষ হবে তৃণমূলের সুব্রত বক্সী, মৌসম বেনজির নূর, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাকেত গোখলের।এই মুহূর্তে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম (CPIM) এর প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। কিন্তু তাতেও শূন্যের ঘড়া পরিপূর্ণ হয়নি। আরও এক বার বাংলা থেকে রাজ্যসভায় শূন্য হয়ে যাবে সিপিএম। একই সময়ে মেয়াদ শেষ হবে সিপিএমের আইনজীবী-নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যেরও।কিন্তু বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়ায় সিপিএম বাংলা থেকে বিকাশরঞ্জন বা অন্য কাউকে আর রাজ্যসভায় পাঠাতে পারবে না। সেই আসনে আরও এক জনকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে পারবে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি।
২০১১ এর পর থেকেই বাংলা থেকে সিপিএমের (CPIM) রাজ্যসভার আসন কমতে শুরু করে। ২০১১ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে সিপিএমের হয়ে জন্য রাজ্যসভা সাংসদ হন সীতারাম ইয়েচুরি। ২০১২ সালে CITU নেতা তপন সেনকে দ্বিতীয় বার রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেয় সিপিএম। ২০১৪ সালে খানিকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই নবীন প্রজন্মের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিপিএম। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বামেরা ৩২টি আসনে জিতেছিল। ফলে একক ক্ষমতায় তাদের পক্ষে রাজ্যসভার আসন জেতা সম্ভব ছিল না। ২০১৭ সালে সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পরে ঋতব্রত রাজ্যসভায় ‘দলহীন সাংসদ’ হিসেবেই ছিলেন। ২০১৮ সালে সিটু নেতা তপনের রাজ্যসভার আসনের মেয়াদ শেষ হলে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় শূন্য হয়ে যায় সিপিএম (CPIM)।
২০২০ সালে তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের উদ্যোগে কংগ্রেস রাজ্যসভার আসনটি সিপিএম কে ছেড়ে দেয়।সুপ্রিম কোর্টে মান্নানের দায়ের-করা সারদা মামলার সুবাদে বিকাশের সঙ্গে মান্নানের ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল সর্বজনবিদিত।ফলে কংগ্রেস-বামফ্রন্টের যৌথ সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন।কিন্তু তিনি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির পরে আর রাজ্যসভায় ফিরতে পারবেন না।সেই আসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর ২ এপ্রিল। ঠিক সময়ে ভোট হলে তখনও বিধানসভা নির্বাচন শেষ হবে না। অর্থাৎ, বিধানসভা ভোটের আগে বিধানসভা এবং লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও শূন্য হয়ে যাবে সিপিএম (CPIM)।
“বাংলায় থাকছ, বাংলায় চাকরি করছ, বাংলায় পয়সা রোজগার করছ, আর বলছ বাংলা গান শুনবে না?” : ইমন
এক সময়ে বাংলা থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে বামেদের ৬০ জনেরও বেশি সাংসদ ছিলেন। বামেরা এখন ভোটে জিততে না পারায় সেই সংখ্যা কমতে কমতে শূন্য হয়ে গিয়েছে। ঘটনাপরম্পরা বলছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম বাংলায় শূন্য হয়েছিল সিপিএম। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও সেই ধারা বজায় থেকেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের আসন ছিল শূন্য।
তিন দফায় পশ্চিমবঙ্গের ১৬টি রাজ্যসভা আসনে ভোট হয়। একটি দফায় ছ’টি আসনে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনে ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন হয়। বাকি দু’বার পাঁচ জন করে সাংসদ নির্বাচিত হন। সে ক্ষেত্রে ৫০ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন হয়। এখন সিপিএমের হাতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় কোনও বিধায়কই নেই। বিজেপি হয়ে গিয়েছে প্রধান বিরোধী দল। যার সুবাদে ইতিমধ্যে অনন্ত মহারাজ এবং শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পেরেছে তারা। আগামী বছর বিকাশের মেয়াদ উত্তীর্ণ আসনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও এক জনকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে পারবে বিজেপি।
ক্রীড়াঙ্গনের স্মরণীয় ঘটনা: যে কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাঠে আম্পায়ারকে দিয়ে চুল কাটিয়েছিলেন!
Facebook : https://www.facebook.com/cloud.tv24x7
x (twitter) : https://x.com/cloudTV_NEWS