DilipGhosh ViralVideoControversy
ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ২৫ জুলাই, ২০২৫ : বিজেপির রাজ্য রাজনীতিতে একসময় অন্যতম মুখ ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনবরত আক্রমণ, বিজেপির কর্মীদের মনোবল বাড়ানো, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা—সব ক্ষেত্রেই দিলীপ ঘোষ ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। কিন্তু সময় বদলেছে। রাজ্য নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে, বদলেছে দিলীপ ঘোষের অবস্থানও। এহেন সময়ে তাঁকে ঘিরে ভাইরাল হল (DilipGhosh ViralVideoControversy) একটি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও, যা রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটি একটি ব্যক্তিগত ঘরের দৃশ্য। তাতে একজন ব্যক্তি ও এক মহিলাকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি খোলামেলা, যা সাধারণত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার আওতায় পড়ে। কিন্তু যাঁকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি দেখতে অনেকটাই দিলীপ ঘোষের মতো—এই দাবিতেই ভিডিওটি রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র আলোড়ন । ভিডিওটি কোথা থেকে এসেছে, কে ছড়িয়েছে, বা কবে আপলোড করা হয়েছে—সেই তথ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
দিলীপ ঘোষের ‘নতুন দল’ গড়ার জল্পনা, বিজেপি নেতারা অস্বীকার করলেও রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে
এই মুহূর্তে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি। দিলীপ ঘোষ নিজে এখনও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারকেও পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপির অন্দরমহলে বিষয়টি নিয়ে চাপা গুঞ্জন রয়েছে। কেউ কেউ বিষয়টি ‘মরাল পলিটিক্স’ বা চরিত্রহরণের অপচেষ্টা বলে মনে করছেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, এটি নিছক ফেক ভিডিও হতে পারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন, যদি এটি সত্যি হয়, তবে ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
দিলীপ ঘোষ একসময় ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রত্যাশামতো ফল না আসায় ধীরে ধীরে দলীয় সিদ্ধান্ত থেকে সরে যেতে শুরু করেন। রাজ্য সভাপতি পদে শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পরেও দিলীপ ঘোষকে প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান থেকেই দূরে রাখা হয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাতেও তাঁকে ডাকা হয়নি—যা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছিল।
এই অবস্থায় এমন একটি ভিডিওর ভাইরাল হয়ে যাওয়া কিছু রাজনৈতিক মহলের মতে নিছক ‘সমাপতন’ নয়। তাঁদের মতে, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার প্রয়াস হতে পারে।
আইনের দৃষ্টিতে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও কারও সম্মতি ছাড়া প্রকাশ করা হলে তা আইটি অ্যাক্টের ৬৬-ই ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-সি (voyeurism) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত সেটিকে কারও নামে ছড়ানো হলে তা মানহানিকর। দিলীপ ঘোষ চাইলে মানহানির মামলা করতে পারেন বা সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
টুইটার, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি ঘুরছে নানান ভাষ্যসহ। কেউ বলছেন, “বিজেপির স্বঘোষিত নৈতিক পুলিশ এখন নিজের ঘরে ধরা পড়লেন।” আবার কেউ লিখেছেন, “এটা Deepfake না তো? যাচাই করা উচিত।” বিজেপির সমর্থকরাও বিভক্ত—একাংশ বলছেন এটি character assassination, আবার একাংশ বলছেন, সত্য হলে তদন্ত হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন :
অজ়ি ওসবোর্ন: শেষ কনসার্টেই রেখে গেলেন মেটাল ইতিহাসের চিরকালীন সাক্ষ্য
ফিডে মহিলা দাবা বিশ্বকাপে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ভারতের দিব্যা দেশমুখ