Breaking News

UKVotingAge16

যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সিদের ভোটাধিকার! সমীক্ষায় দেখা গেল, তারাই ১৮-র চেয়ে বেশি আগ্রহী ভোটদানে

যুক্তরাজ্য সরকার দেশব্যাপী ১৬ ও ১৭ বছর বয়সিদের ভোটাধিকার দিতে চলেছে, যা দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন। গবেষণা বলছে, তরুণ ভোটাররা বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল, যার ফলে এই উদ্যোগ ভোটার অংশগ্রহণ বাড়াতে সাহায্য করবে। সংসদের অনুমোদন পেলে শিগগিরই এই পরিবর্তন কার্যকর হতে পারে।

UKVotingAge16: Empowering Young Voters in Britain %%page%% %%sep%% %%sitename%%

UKVotingAge16

ক্লাউড টিভি আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১৮ জুলাই, ২০২৫ : যুক্তরাজ্যের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এক বড় পরিবর্তনের (UKVotingAge16) পথে হাঁটছে ব্রিটিশ সরকার। বৃহস্পতিবার সংসদে ঘোষিত নতুন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ১৬ ও ১৭ বছর বয়সিদের সাধারণ নির্বাচনে ভোটাধিকার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ফলে ব্রিটেনের রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারের দাবি, এই সংস্কারের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভোটাধিকার সংক্রান্ত নিয়মে সামঞ্জস্য আসবে। বর্তমানে স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সিরা আঞ্চলিক নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার পান, কিন্তু ইংল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে তা এখনও ১৮ বছর বয়স থেকেই শুরু হয়।

ভোটার উপস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে কমছে

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ৫৯.৭ শতাংশ, যা ২০০১ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। এই প্রেক্ষাপটে, তরুণদের মধ্যে ভোটদানে উৎসাহ বাড়ানো এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করাই সরকারের এই সিদ্ধান্তের অন্যতম উদ্দেশ্য।

হাউস অব কমন্স লাইব্রেরি-র একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, যেসব দেশে ভোটের বয়স ১৬-তে নামিয়ে আনা হয়েছে, সেখানে ১৮ বছর বয়সিদের তুলনায় ১৬ বছর বয়সিরা বেশি আগ্রহী এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ভোট দিয়ে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ ভোটারদের প্রথম ভোটদানের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক অংশগ্রহণে বড় প্রভাব ফেলে

মহারাষ্ট্রে যে ‘মোদিবিহীন’ ফর্মুলা কার্যকর হয়েছে, বাংলার ক্ষেত্রেও কি তেমনই ভাবছে গেরুয়া বাহিনী?

কত জন ডিএ প্রাপক রয়েছেন, সব দফতরের কাছে জানতে চাইল নবান্ন

রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন

ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি, যারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিল, তারা ভোটের বয়স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচনের আগেই। সেই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিবর্তন কার্যকর করতে পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগবে, যা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।

লেবার নেতারা মনে করছেন, তরুণ প্রজন্ম জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাল অধিকার ও শিক্ষা সংস্কারের মতো ইস্যুতে অধিক সচেতন, তাই তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত।

ভোটার আইডি নিয়মে শিথিলতা

নতুন প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় ভোটার আইডির ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছে। বর্তমানে ইংল্যান্ডে ভোট দিতে গেলে নির্দিষ্ট ফটো আইডি দেখানো বাধ্যতামূলক। নতুন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ইউকে-ইস্যুকৃত ব্যাংক কার্ড, ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ভেটেরান কার্ডও গ্রহণযোগ্য হবে, যাতে তরুণ ভোটারদের ভোটদান প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়।

নিরাপত্তা ও বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে কড়া ব্যবস্থা

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটাধিকার সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিদেশি হস্তক্ষেপ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল ভোটার তালিকা নিরাপদ রাখতে উন্নত সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হবে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নতুন নিয়ম প্রণয়ন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন :

শিরার সমস্যায় ভুগছেন ট্রাম্প, হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে স্বাস্থ্য জল্পনার অবসান

স্লো ওভার রেটের খেসারত: লর্ডস টেস্ট জিতেও পয়েন্ট হারাল ইংল্যান্ড

ad

আরও পড়ুন: