TrumpNobelNomination
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পেয়েছেন। মনোনয়ন পাঠিয়েছেন ইজরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের এক ঘরোয়া নৈশভোজে এই মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়, যা ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্পের এই মনোনয়নের পেছনে নেতানিয়াহুর যুক্তি কী?
নেতানিয়াহুর মতে, ট্রাম্পের প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে একাধিক শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’, যার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধ ও ইরান সংকটে তার যুদ্ধবিরতির ভূমিকা ‘শান্তির বার্তা’ বহন করেছে।
ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের সুপারিশ নেতানিয়াহুর, হোয়াইট হাউসে চিঠি হস্তান্তর
“যদি নোবেল দিলে উনি চুপ থাকেন, তবে তা দেওয়া হোক”— ট্রাম্পকে ব্যঙ্গ করে টুইট চলচ্চিত্র পরিচালকের!
কে কে পেয়েছেন এর আগে শান্তিতে নোবেল?
থিওডোর রুজভেল্ট (১৯০৬) – রুশ-জাপান যুদ্ধে মধ্যস্থতা।
উড্রো উইলসন (১৯১৯) – ‘লিগ অব নেশনস’-এর প্রতিষ্ঠা।
জিমি কার্টার (২০০২) – শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে অবদান।
বারাক ওবামা (২০০৯) – বহুপাক্ষিক কূটনীতি ও নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টা।
এই তালিকায় ট্রাম্পের সম্ভাব্য সংযোজন নিয়ে মতভেদ তীব্র। অনেক কূটনীতিক ও বিশ্লেষক মনে করছেন, এটি নেতানিয়াহুর এক কৌশলী পদক্ষেপ—যার মাধ্যমে ট্রাম্পের বিশ্ব রাজনীতিতে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার এবং নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রয়াস।
বিশ্বজুড়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে—একজন বিতর্কিত নেতা, যার প্রশাসনকে ঘিরে অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা, গণমাধ্যম বিরোধিতা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উত্তেজনার অভিযোগ রয়েছে, তিনিই কি সত্যিই শান্তির প্রতীক?
একাংশ অবশ্য ট্রাম্পের “চুক্তির রাজনীতি”র প্রশংসা করে বলছে, তিনি যে সব দেশের মধ্যে দশকের পর দশক শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল, তাদের মধ্যে পারস্পরিক স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার রূপরেখা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন—তা এক বিশাল অর্জন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন পাওয়া মানেই পুরস্কার পাওয়া নয়। নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বিশ্বের বিভিন্ন মনোনয়নের মধ্য থেকে গভীর পর্যালোচনার মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করে। সে বিচারে, ট্রাম্পের অতীত রেকর্ড এবং বিতর্কগুলি বিশ্লেষণে বড় ভূমিকা নিতে পারে।
তবে এটি নিঃসন্দেহে ২০২৬ মার্কিন নির্বাচনপূর্ব প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক হাতিয়ার হতে চলেছে ট্রাম্পের জন্য।
আরও পড়ুন :
CloudTVExclusive : IRCTC-র হালাল বাড়বাড়ন্তে কোপ: RTI-এর শুনানিতে ঐতিহাসিক নির্দেশ কমিশনারের