অনুব্রত মণ্ডল
ক্লাউড টিভি রিপোর্ট: বীরভূমের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাঁকে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিতে শোনা যায়। এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়। অনুব্রত প্রথমে অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বর নিজের নয় বলে দাবি করলেও পরে দলের নির্দেশে তা স্বীকার করে নেন এবং লিখিতভাবে পুলিশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আলিপুরদুয়ারে জনসভা থেকে মোদীর তৃণমূল বিরোধী তোপ: ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু
মাঝরাস্তায় ‘বিজেপি কর্মী’র সঙ্গমের ভিডিয়ো ভিডিও ভাইরাল: নেতাকে নোটিস পাঠাল বিজেপি
পুলিশও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। বোলপুর থানার আইসির অভিযোগের ভিত্তিতে অনুব্রতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কাজে বাধা, সরকারি কর্মচারীকে হেনস্থা, শ্লীলতাহানি এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ।
অনুব্রত মণ্ডল অতীতেও বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি প্রকাশ্যে পুলিশকে বোমা মারার নিদান দিয়েছিলেন, কিন্তু তখন দল বা প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই ঘটনার প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “যে ভাষায় উনি (কেষ্ট) কথা বলেছেন, তাতে দল বিরক্ত। তাই সঙ্গে সঙ্গে দল পদক্ষেপ করেছে।” তৃণমূলের মহিলা সাংসদ এবং বিধায়কেরাও গোটা ঘটনায় ক্রুদ্ধ। সেই ‘চাপ’ও দলের উপর ছিল। তৃণমূল জানে, বছর ঘুরলে বিধানসভা ভোট। মমতার জনসমর্থনের অন্যতম পুঁজি মহিলা ভোট। যে ভোটে থাবা বসাতে চাইছে বিজেপি। পরিস্থিতি বুঝেই অনুব্রতের অডিয়োকাণ্ডে পদক্ষেপ করতে কালক্ষেপ করেনি তৃণমূল। তবে যে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ক্ষমা চেয়েই কি পার পাবেন কেষ্ট? কোনও ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ কি তাঁকে দেবে না দল?
অনুব্রত মণ্ডল প্রথমে অডিও ক্লিপের কণ্ঠস্বর অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “রাতে অনেক ওষুধপত্র খাই তো! তখন আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়। আমি এই কথা বলেছি। সে জন্য আমি দুঃখিত।”
বিজেপি এই ঘটনাকে তৃণমূল সরকারের পুলিশের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল যে পুলিশকে তাদের দলদাসে পরিণত করেছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। তাই আর ক্ষমা চাওয়ার ন্যাকামি নয়, কেষ্টকে গ্রেফতার করুক পুলিশ।”
আরও পড়ুন :
এই গরমে কোথায় যেতে পারেন হানিমুনে? জেনে নিন সেরা ৬টি গন্তব্য
আগামী দুই সপ্তাহে দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা