WestBengal VoterList SIR
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মঞ্চ থেকে ভোটার লিস্টে নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে SIR নিয়ে রাজ্যের শাসকদল এবং বিজেপির চাপানউতরের মাঝেই এক গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিশাখাপত্তনম ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এবং এস.পি জৈন ইন্সটিটিউটের দুই সহকারী অধ্যাপক যথাক্রমে ডক্টর মিলন কুমার এবং ডক্টর বিধু শেখর নিজেদের গবেষণাপত্রে দাবি করেছেন, ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় প্রায় ১.০৪ কোটি অতিরিক্ত নাম (WestBengal VoterList SIR) রয়েছে৷ যা কি-না পূর্বের তালিকার চেয়ে অন্তত ১৩.৬৯ শতাংশ বেশি৷ গবেষকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ২০১১ সালের পর থেকে মানুষের ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বাড়ায় প্রকৃত অতিরিক্ত ভোটারের হার গবেষণাপত্রে উল্লিখিতের চেয়েও বেশি হতেই পারে।
প্রথমে বিহার এবং তারপর পশ্চিমবঙ্গ। ভোটার লিস্ট সংশোধন নিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণে গিয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারংবার দাবি করেছেন, রাজ্যে SIR হলে প্রায় এক কোটি অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে৷ পালটা বাঙালি অস্মিতা নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। এমতাবস্থায় ২০০৪ সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তি করেই তৈরি ‘ইলেক্টোরাল রোল ইনফ্লেশন ইন ওয়েস্ট বেঙ্গলঃ আ ডেমোগ্রাফিক রিকন্সট্রাকশন অফ লেজিটিমেট ভোটার কাউন্টস (২০২৪)” শীর্ষক রিপোর্টটি হিসেব সহ দাবি করে, ঠিক কোন অঙ্কে ভোটার লিস্টে প্রায় এক কোটি অতিরিক্ত ভোটার রয়েছে।
নেতার ছবি নয়, এবার শুধু দলীয় প্রতীক: বিজেপি অফিসে ব্যাকড্রপে বদল ‘ব্যক্তিনির্ভরতা’ কমানোর কথা বলছে
২০০৪ সালের ভোটার তালিকার ৪.৭৪ কোটি ভোটারের বয়স এবং মৃত্যুহার বিচার করে গবেষকদের দাবি, ২০০৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের ৪.৭৪ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় ১ কোটির বেঁচে থাকার কথা নয়। ১৯৮৬ থেকে ২০০৬ অবধি জন্মানো ভোটারের সংখ্যা ২০২৪ সালে হওয়া উচিত ৬.৫৭ কোটি, কিন্তু ২০২৪ এর ভোটার তালিকায় রয়েছে ৭.৬১ কোটি ভোটার। অর্থাৎ, এখানেই অতিরিক্ত ভোটার রয়েছে ১.০৪ কোটি।
তাছাড়া, গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যে নতুন ভোটার নথিভুক্তকরণের হার ৯২.৮ শতাংশ, তবে সাধারণত এটি অনেকটাই কম হয়। তাছাড়া বহু জায়গায় প্রকৃত ভোটারের চেয়ে লিস্টে থাকা ভোটারের সংখ্যা অনেকটাই বেশি বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টটিতে।
২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ‘বহিরাগত’ বলে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানে পশ্চিমবঙ্গ জয় করেছিল তৃণমূল। ঠিক পাঁচ বছর বাদে বিজেপির অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে আসা ‘অনুপ্রবেশকারী’দের জন্যই জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে বাংলার নিজের ছেলে-মেয়েদের। এসএসসি দুর্নীতিতে ২৬,০০০ চাকরি বাতিল, ক্রমাগত সংখ্যালঘু তোষণ সহ এই অভিযোগগুলির প্রত্যুত্তর শাসকদল কীভাবে দেয়, তার দিকেই নজর থাকবে গোটাদেশের।
আরও পড়ুন :
চ্যাটজিপিটি-র বিরুদ্ধে মামলা : কিশোরের আত্মহত্যায় দায়ী কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?