Breaking News

FormerLeftTurnedBJP

রামের মুখে প্রাক্তন বামনাম : সাংগঠনিক রদবদলে লালমুখী হচ্ছে গেরুয়া শিবির

বাম সাংগঠনিক দক্ষতাকে বিজেপি নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে

Former Left Turned BJP: A Political Shift %%page%% %%sep%% %%sitename%%

FormerLeftTurnedBJP

ক্লাউড টিভি  ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বড় রকমের টানাপোড়েন চলছে। একদিকে যেমন তৃণমূলের অন্দরে চলেছে ঘর গোছানোর কাজ, অন্যদিকে বিজেপিও নতুন কৌশলে এগোচ্ছে রাজ্য দখলের লড়াইয়ে। সাম্প্রতিক একটি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত রাজ্য বিজেপির রণকৌশলে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। গেরুয়া শিবির এখন সরাসরি ভরসা রাখছে প্রাক্তন বামপন্থী নেতাদের উপরে(FormerLeftTurnedBJP)। দলীয় সূত্র বলছে, এখন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব বুঝে গিয়েছে, ২০২৬ সালের ভোটে শুধু ‘আদি বিজেপি’র হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সংযুক্ত হচ্ছে ‘বাম’ বটবৃক্ষের ছায়া।

বিজেপির জাতীয় কর্মসূচি ‘আমার বুথ, সবচেয়ে মজবুত’– এই পরিকল্পনার জন্য রাজ্যস্তরে যে টিম গঠন করা হয়েছে, তার নেতৃত্বে রাখা হয়েছে এক প্রাক্তন বাম নেতা ও সংগঠককে। শুধু তাই নয়, পুরো টিমে একাধিক প্রাক্তন বামপন্থীর উপস্থিতি চোখে পড়ছে। কেউ ছিলেন সিপিএমের পলিটবুরোর ঘনিষ্ঠ, কেউ বা বহু বছর ধরে DYFI-র জেলা নেতৃত্বে ছিলেন। আজ তাঁরা সকলে বিজেপির ‘বুথ ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’-র মূল কারিগর।

দলের এক প্রবীণ নেতা নাম না করে জানান, “বাম নেতারা মাঠে কাজ করতে জানেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া আর বড় বড় মিছিল করে সংগঠন মজবুত হয় না।” বিজেপির অভ্যন্তরে এখন একটা বড় অংশের মতে, বামপন্থী নেতাদের নিয়ে এলে দলীয় কাঠামো মজবুত হবে। কারণ বামপন্থীদের দীর্ঘদিনের ‘ক্যাডার ভিত্তিক’ অভিজ্ঞতা রাজনীতির মাটি বুঝতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০২১ সালে পরাজয়ের ধাক্কা সামলে এক নতুন ‘সেন্টার লাইন’ তৈরি করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি।

বঙ্গজয়ে বিজেপির ভরসা সেই হিন্দুত্ব-মমতা বিরোধিতায়, ২৬ এ চিড়ে ভিজবে?

মহারাষ্ট্রে যে ‘মোদিবিহীন’ ফর্মুলা কার্যকর হয়েছে, বাংলার ক্ষেত্রেও কি তেমনই ভাবছে গেরুয়া বাহিনী?

এই সিদ্ধান্তে বিজেপির অন্দরে নতুন করে চিড় ধরেছে বলে খবর। আদি বিজেপির অনেক নেতারাই মনে করছেন, এভাবে ‘বহিরাগত’ বা ‘ঘরছাড়া’ নেতাদের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হলে দলীয় শিকড় দুর্বল হবে। তাঁদের মতে, দল ত্যাগ করে আসা কেউ দলের নীতিতে শতভাগ বিশ্বাস করে না—তারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এখানে এসেছে। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এমন মতকে পাত্তা দিতে নারাজ। এক কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বলেন, “দলকে বড় করতে হলে সব যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষকে জায়গা দিতে হবে। শুধু ‘কেউ কবে যোগ দিয়েছে’ সেটা দেখলে চলবে না।”

রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির এই রণকৌশল অনেকটা বাধ্য হয়ে নেওয়া। রাজ্যে ঘাসফুলের জমি এতটাই শক্ত, যে তার মোকাবিলায় ‘অভিজ্ঞ’ লোক লাগবেই। এবং বাম নেতারাই এখন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন। কারণ রাজ্যে বামেরা এখন ‘ভোটে নেই’, কিন্তু ‘জমিতে রয়েছেন’। এই বাস্তবতাই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। এ ছাড়া, বিজেপি চাইছে একটা নতুন ‘সাংগঠনিক মুখ’ তৈরি করতে, যাঁদের সঙ্গে মমতার সরাসরি সংঘর্ষ নেই এবং যাঁরা মানুষের কাছে এখনও বিশ্বাসযোগ্য।

আরও পড়ুন :

হানিমুন ট্র্যাজেডি: মেঘালয়ে নিখোঁজ ইন্দোর দম্পতির রহস্যজনক পরিণতি

সোনাগাছি: এক অন্ধকারের আলো ও বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি

ad

আরও পড়ুন: