Breaking News

RakhineCorridor

রাখাইনে ‘করিডর’ : বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করলেন

"জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো অ-নির্বাচিত প্রশাসন দেশের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করতে পারে না"

RakhineCorridor: General's Stance on Politics %%page%% %%sep%% %%sitename%%

RakhineCorridor

ঢাকা, ২২ মে (ক্লাউড টিভি) : বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও তার নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। বিশেষ করে, রাখাইন করিডোরের (RakhineCorridor ) প্রস্তাব ও আগামী জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে তার অবস্থান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঢাকায় এক সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকে রাখাইন করিডোরের প্রস্তাবকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সেনাবাহিনীকে অবহেলা করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো অ-নির্বাচিত প্রশাসন দেশের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করতে পারে না”

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে প্যালেস্টাইনের গাজায় ভয়াবহ নৃশংসতায় তীব্র মানবিক সংকটে পড়া গাজার মানুষদের জন্য সহায়তা পাঠাতে মানবিক করিডর বারবার আলোচনায় এসেছে। যদিও বাংলাদেশে এটি আলোচনায় এসেছে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর প্রসঙ্গে। এর বাইরে বিশ্বের নানা দেশে উপদ্রুত এলাকায় এ ধরনের করিডর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ দেখা গেছে।”যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর যখন কোনো উপায় থাকে না, তখন একটি স্বীকৃত পথ বা প্যাসেজের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়। তবে করিডর মানেই যে জলভাগ বা স্থলভাগ হবে এমন নয় বরং এটি সময় নির্ধারণ করেও হতে পারে। সংঘাতময় এলাকায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর এমন পথ বা পদ্ধতিই মানবিক করিডর,”

Breaking : ইউক্রেনের হত্যাকারীদের বোমা হামলায় রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র প্রধান নিহত মস্কো তে

ইস্টার সোমবারে পৃথিবীকে বিদায় পোপ ফ্রান্সিসের, প্রয়াণে শোকের ছায়া বিশ্বজুড়ে

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা যে সংকটের মধ্যে আছি, তা আমাদের নিজেদের তৈরি। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশে কখনোই শান্তি আসবে না”সেনাবাহিনী প্রধান ঘোষণা করেছেন যে, তারা আর কোনো ধরনের অরাজকতা বা হিংসা সহ্য করবেন না। সেনা কর্মকর্তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্য ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি এটাও স্পষ্ট করে দেন যে, সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

রাখাইন করিডোরের (RakhineCorridor)  প্রস্তাব নিয়ে সেনাবাহিনীর বিরোধিতার পর, অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খালিলুর রহমান দাবি করেছেন যে, ঢাকার পক্ষ থেকে কোনো করিডোরের কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন, “আমি সেনাবাহিনী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একমত”

এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিক্রিয়া দেশের ভবিষ্যত রাজনৈতিক দৃশ্যপটের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন :

আন্তর্জাতিক চা দিবসে ‘এক কাপ ভালবাসা’ — চায়ের টানে আজও বাঙালির মন

চলুন যাই শীতলতার ছোঁয়া নিতে নেপালে

ad

আরও পড়ুন: