Breaking News

ImranKhan PakistanPolitics

ইমরান খানের মুক্তি আটকে দিল আদালত: জামিন আবেদন খারিজ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামিন আবেদন খারিজ করেছে লাহোর হাইকোর্ট। ২০২৩ সালের সহিংসতার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে আদালত জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্তে অসহযোগিতাও ছিল সুস্পষ্ট।

ImranKhan PakistanPolitics: Court Denies Bail Request %%page%% %%sep%% %%sitename%%

ImranKhan PakistanPolitics

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির (ImranKhan PakistanPolitics) আশা আবারও ধাক্কা খেলো। ২০২৩ সালের ৯ মে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হিংসা ঘটনার ষড়যন্ত্রে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার লাহোর হাইকোর্ট তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

আদালতের মতে, পুলিশের দুই কর্মকর্তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়েছে যে, সহিংসতার নেপথ্যে ইমরান খানেরই ভূমিকা ছিল। যদিও ঘটনার সময় তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন, তথাপি তাঁর পরিকল্পনায় অংশগ্রহণের সুস্পষ্ট প্রমাণ আদালতের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে।

আদিয়ালা জেলে ইমরান খানের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ: রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

জেল থেকেই নেতৃত্ব! ইমরান খান হলেন পিটিআই’র ‘প্যাট্রন-ইন-চিফ’

লিখিত আদেশে জানানো হয়েছে, ইনস্পেক্টর ইসমত কামাল এবং সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর হাসান আফজালের দেওয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী, ইমরান খান ২০২৩ সালের ৪ মে রাওয়ালপিন্ডির চক্রি রেস্ট এরিয়ায় এবং ৭ ও ৯ মে লাহোরে বৈঠকের আয়োজন করেন। এই বৈঠকগুলোর লক্ষ্য ছিল সরকারবিরোধী সহিংস বিক্ষোভ সংগঠিত করা।

আদালত উল্লেখ করে, এটি স্পষ্ট যে এই বৈঠকগুলো সহিংস পরিকল্পনার অংশ ছিল, এবং এই পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (ধারা ১২০-বি)রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে উস্কানি (ধারা ১২১-এ) প্রমাণ করে।

রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় অডিও ও ভিডিও ক্লিপ, পেমরার প্রস্তুত করা ট্রান্সক্রিপ্ট এবং ভয়েস ম্যাচিং সংক্রান্ত তথ্য আদালতে উপস্থাপন করে। ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য এসব তথ্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতের অনুমতি নিয়ে কারাগারেই ইমরান খানের ফটোগ্রামেট্রি, পলিগ্রাফ এবং ভয়েস-ম্যাচিং পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, ইমরান খান এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বারবার অস্বীকৃতি জানান, যা তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি করে।

আদালতের মতে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুরুতর এবং এতে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪৯৭ অনুসারে জামিন নিষিদ্ধ। আদালতের ভাষ্য, ‘এই ধরনের অপরাধে জামিন তখনই বিবেচনা করা হয় যদি নতুন কোনো তথ্য বা বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে।’ বর্তমান মামলায় তেমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে আদালত জানায়।

তাছাড়া, পূর্বে আলোচিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা নিয়েও কোনো আইনগত আপত্তি তোলা হয়নি বলে আদালত উল্লেখ করে। একইসঙ্গে আদালত দাবি করে, ইমরান খানের বক্তৃতা ও কর্মকাণ্ডের ফলেই বহু প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

রায়ে বলা হয়েছে, ‘প্রস্তুতকৃত সমস্ত তথ্য ও সাক্ষ্য বিবেচনা করে আদালত মনে করছে, জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।’ ফলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়।

ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই চিহ্নিত করেছে। দলের নেতারা বলছেন, বিচারব্যবস্থা সরকার নিয়ন্ত্রিত, এবং ইমরান খানের জনপ্রিয়তাকে দমন করতেই এসব মামলা রচনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। দেশজুড়ে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, তার পেছনে পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই এই আইনি পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন :

দাবানলে জ্বলছে ইউরোপ: এক সিগারেটেই ছাই ১০ হাজার একর বনাঞ্চল

ইতিহাস গড়ল Nvidia : বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি

ad

আরও পড়ুন: