india norht korea
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারতের বিদেশমন্ত্রক সম্প্রতি একটি বড় কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, আমেরিকার বড় শত্রু হিসেবে পরিচিত উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়াংয়ে তার দূতাবাস পুনরায় খুলেছে (Indian Embassy North Korea)। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং কূটনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছে, বিশেষ করে যখন উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত।
ভারত 1973 সালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল, যা ছিল তার জোটনিরপেক্ষ নীতির অংশ। তবে, কোভিড-19 মহামারীর সময়ে 2021 সালের জুলাইয়ে পিয়ংইয়াংয়ে ভারতীয় দূতাবাসটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। 2024 সালে, ভারত আবারও সেখানে তার উপস্থিতি পুনঃস্থাপন শুরু করেছে (Indian Embassy North Korea), যদিও দূতাবাসের পরবর্তী রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ এখনও বাকি রয়েছে।
ভারত ও উত্তর কোরিয়া: কূটনীতিতে নতুন দৃষ্টিকোণ
উত্তর কোরিয়ার দুই প্রধান মিত্র দেশ হলো রাশিয়া ও চীন। চীন, উত্তর কোরিয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও সামরিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে।
ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি
ভারত এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তার স্বাধীন কূটনৈতিক নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। এটি ভারতের চীন এবং রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার একটি সুযোগ হতে পারে। পাশাপাশি, উত্তর কোরিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ভবিষ্যতে ভারতের জন্য অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক লাভের উৎস হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চমকপ্রদ পদক্ষেপ?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষমতা এবং আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাই ভারতের এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত হতে পারে, বিশেষ করে যখন দুটি দেশ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। তবে, এটি ভারতের স্বাধীন কূটনৈতিক নীতির এবং তার জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রদর্শন করে।
কূটনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব
উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করে ভারত চীন এবং রাশিয়ার সাথে তার কূটনৈতিক সম্পর্কগুলো শক্তিশালী করতে পারে। এর মাধ্যমে, ভারতের জন্য নতুন বাণিজ্যিক সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় এই পদক্ষেপটি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে, এবং এটি স্পষ্ট হবে যে, তারা এটি ভারতের কূটনৈতিক স্বাধীনতা হিসেবে দেখে, নাকি তাদের কৌশলগত সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করবে।
x (twitter) – https://x.com/cloudTV_NEWS