Breaking News

IndiaUSRelations

‘কৌশলগত মিত্র’ ভারতের প্রশংসা করল হোয়াইট হাউস, মোদি-ট্রাম্প সম্পর্ক নিয়েও মন্তব্য

“এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত একটি অত্যন্ত কৌশলগত মিত্র এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”— বললেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লিভিট।

IndiaUSRelations and the Indo-Pacific Strategy %%page%% %%sep%% %%sitename%%

IndiaUSRelations

ওয়াশিংটন, ১ জুলাই: বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক অঞ্চল ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ভারতের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করল হোয়াইট হাউস (IndiaUSRelations)। সোমবার (স্থানীয় সময় ৩০ জুন) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত এখনো একটি অত্যন্ত কৌশলগত মিত্র।”

তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দৃঢ় ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে এবং ট্রাম্প প্রশাসন এই সম্পর্ক আরও মজবুত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই মন্তব্য এমন সময়ে এলো যখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন এবং ‘কোয়াড’ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালেই জয়শঙ্কর সোমবার জাতিসংঘে ‘The Human Cost of Terrorism’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ।

‘জুয়াড়ি ট্রাম্প’ যুদ্ধ শুরু করেছেন, শেষ করব আমরা: হুঁশিয়ারি আইআরজিসির

Breaking : আমেরিকার শত্রু দেশে ভারতের দূতাবাস খোলার উদ্যোগ

প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারত-চীন সম্পর্ক, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রসার ও প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে লিভিট কৌশলে চীনের নাম না নিয়ে ভারতের ভূমিকাকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “ভারত একটি বিশ্বস্ত অংশীদার, যার সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহযোগিতা চলছে।”

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর, প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং হোয়াইট হাউস— তিনটি স্তরেই ভারতকে নিয়ে বিশেষ নীতি ও কৌশল তৈরি করা হচ্ছে। এতে স্পষ্ট, ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতকে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকায় দেখতে চায় আমেরিকা।

এছাড়াও তিনি বলেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক শুধু কৌশলগত নয়, বরং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেও গঠিত। উভয় দেশই একটি উন্মুক্ত, মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চায়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হোয়াইট হাউসের এই মন্তব্য শুধু তাৎক্ষণিক কূটনৈতিক বার্তা নয়, বরং আগামী মার্কিন নির্বাচনের পর ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দিক নির্দেশনা হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের মূল কৌশলের মধ্যে রয়েছে চীনকে রুখে দেওয়ার পাশাপাশি ভারতকে প্রধান ভূরাজনৈতিক অংশীদার হিসেবে তুলে ধরা।

উল্লেখ্য, কোয়াড হচ্ছে একটি কৌশলগত নিরাপত্তা জোট, যেখানে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া সদস্য দেশ। এই জোটের উদ্দেশ্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সন্ত্রাসবিরোধী সমন্বয় বৃদ্ধি করা।

এস জয়শঙ্করের প্রদর্শনী উদ্বোধন এবং হোয়াইট হাউসের এই বক্তব্য ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বার্তা বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন :

উইম্বলডনে র‍্যাকেট ও র‍্যাম্পের লড়াই: আলোচনায় মডেল টেনিস তারকা কারসন ব্র্যানস্টিন

উইম্বলডনে পর্দা উঠল: শেষ বারের মতো ইতিহাসের মুখোমুখি জোকোভিচ

ad

আরও পড়ুন: