Breaking News

TrumpVsMusk

ট্রাম্প–মাস্ক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেল জেফ্রি এপস্টেইনের ছায়া: ওয়াশিংটনে বিতর্ক, তদন্তের দাবি তুঙ্গে

এই ঘটনার মাধ্যমে শুধু দুই বিতর্কিত ব্যক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন না, বরং যৌন অপরাধ, প্রভাবশালী নেটওয়ার্ক ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতার প্রশ্নে আমেরিকার গণতন্ত্র আবারও পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেছে।

TrumpVsMusk: The Social Media Showdown %%page%% %%sep%% %%sitename%%

TrumpVsMusk

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন করে ঝড় তুলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও এলন মাস্কের (TrumpVsMusk) মধ্যে ঘটে যাওয়া সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্য তর্ক। বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে যখন এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে বহুল আলোচিত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের নাম। এলন মাস্কের একটি এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে তিনি পরোক্ষভাবে দাবি করেন, ট্রাম্পের নাম রয়েছে এপস্টেইনের ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’-এ—যা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি।

১১ জুন, এলন মাস্ক এক্সে লেখেন:

“Maybe the reason the Epstein client list was never made public is because one of the names is… Trump?”

এই পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাস্ক সেটি মুছে ফেলেন। তা সত্ত্বেও রাজনীতিক মহল, মিডিয়া ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে—জেফ্রি এপস্টেইনের প্রভাবশালী “বন্ধুদের” নিয়ে।

এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এলন মাস্ক! ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট বিল নিয়ে তীব্র বিরোধিতা

ট্রাম্প প্রশাসন থেকে ইলন মাস্কের পদত্যাগ, বিতর্কের অবসান

ট্রাম্প এর জবাবে মাস্ককে “চিন্তাশক্তিহীন”, “বিশ্বাসঘাতক” ও “শয়তানের পা-চাটা” বলেও উল্লেখ করেন Truth Social-এ এক পোস্টে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন:

“আমি কখনও এপস্টেইনের ক্লায়েন্ট ছিলাম না, আর এলনের এই দাবি আইনের চোখে অপবাদ এবং মানহানির শামিল।”

২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পর মাস্ক প্রথমে তার “টেক অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল”-এ যোগ দেন। সেই সময় স্পেসএক্স ও টেসলার কর ছাড় ও সরকারি সুবিধা পাওয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। তবে ২০২২ সালের পর থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন নীতিকে কেন্দ্র করে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি আর কোনো রাজনৈতিক দলকে আর্থিক সাহায্য করবেন না। এরপর থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হতে থাকে।

মাস্কের বক্তব্যের পরপরই ডেমোক্র্যাট ও কয়েকজন নিরপেক্ষ কংগ্রেস সদস্য দাবি জানিয়েছেন, “Epstein Client List” প্রকাশ্যে আনা হোক এবং ট্রাম্পসহ যাদের নাম উঠে আসছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত হোক।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের হাউজ কমিটির সদস্য রেবেকা ব্ল্যাক বলেন:

“যদি ট্রাম্প সত্যিই নির্দোষ হন, তাহলে তিনি এই লিস্ট প্রকাশে আপত্তি করবেন না। জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।”

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল Pam Bondi-এর অধীনে আগে কিছু ফাইল আংশিক প্রকাশিত হলেও এখনো সম্পূর্ণ লিস্ট গোপন রাখা হয়েছে। এমনকি, কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ‘হেভিলি রিড্যাক্টেড’ (মুছে দেওয়া) করা হয়েছিল।

  • CNNMSNBC–তে টানা দুই রাত এই প্রসঙ্গে বিশেষ বিতর্ক হয়েছে।

  • The View-তে হোস্ট হুপি গোল্ডবার্গ বলেছেন:

    “এটা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক যে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে দুই ধনকুবের নিজেদের ব্যক্তিগত যুদ্ধের অস্ত্র বানিয়ে ফেলছে।”

  • সেথ মেয়ার্স-এর “Late Night” শো-তে বলা হয়:

    “Trump vs Musk is the new Godzilla vs King Kong. But with less dignity.”

এই বিতর্কের জেরে রিপাবলিকান দলের মধ্যেও বিভক্তি তৈরি হয়েছে। একদিকে কিছু ট্রাম্পপন্থী নেতা মাস্ককে ‘ডিপ স্টেটের’ এজেন্ট হিসেবে তুলে ধরছেন, অন্যদিকে তরুণ রিপাবলিকানরা মাস্কের বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছেন। ডেমোক্র্যাটরা এ সুযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নৈতিক ও আইনি চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন :

ইজরায়েল–ইরান সংঘর্ষ: “অপারেশন রাইজিং লায়ন” এ প্রাণ হারালেন ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি সহ কয়েকজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী

শিক্ষকদের প্রতিবাদ আরও তীব্র আকার নিচ্ছে: আমরণ অনশনে চাকরি হারা শিক্ষকরা

ad

আরও পড়ুন: