iran's response to trump
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি (iran’s response to trump) নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন । তিনি বলেছেন, “তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের শুধু আদেশ দেবে এবং হুমকি দেবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। এমনকি আমি আপনার সঙ্গে আলোচনাও করব না। আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন।”
এদিকে, ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, “ইরানকে দুটি উপায়ে মোকাবিলা করা যেতে পারে: সামরিকভাবে, অথবা আপনি একটি চুক্তি করে যাতে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত থাকে।” তিনি আরও বলেন, “আমি একটি চুক্তিকে বেছে নেব। কারণ আমি ইরানকে আঘাত করতে চাই না। ইরানিরা দুর্দান্ত মানুষ।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর তেহরান জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য কোনো চিঠি পাননি। ইরানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান নয়, তারা এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় iran’s response to trump) ।
ইরান দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। তবে, তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতা পর্যন্ত ত্বরান্বিত করছে, যা প্রায় ৯০ শতাংশ অস্ত্র-গ্রেড স্তরের কাছাকাছি বলে সতর্ক করেছে আইএইএ।
৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব মেনে নিয়েছে ইউক্রেন, রাশিয়া কি সম্মত হবে?
বঙ্গজয়ে বিজেপির ভরসা সেই হিন্দুত্ব-মমতা বিরোধিতায়, ২৬ এ চিড়ে ভিজবে?
যদিও ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তবে তিনি তার আগের প্রেসিডেন্ট মেয়াদের মতোই ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেছেন, যার মাধ্যমে ইরানকে বৈশ্বিক অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা ও তেল রফতানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
২০১৫ সালে ওবামার আমলে ছয় বিশ্বশক্তি— আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিন— ইরানের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করেছিল। শর্ত ছিল, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখলে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
কিন্তু ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে, একে আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে ঘোষণা করে। বাইডেনের সময়ে ফের সমঝোতার চেষ্টা হলেও, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ফিরে আসার পর তেহরানের বিরুদ্ধে আবার কড়া অবস্থান নেন। মাস খানেক আগেই তিনি ইরানকে ধ্বংসের হুমকি দিয়েছিলেন। অথচ এবার তাকেই আলোচনার প্রস্তাব দিতে শোনা গেল। তা মুখের ওপর ফিরিয়েও দিল ইরান।
ইরানের এই অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে, পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই উত্তেজনার পরিণতির দিকে iran’s response to trump)
Facebook : https://www.facebook.com/cloud.tv24x7
x (twitter) : https://x.com/cloudTV_NEWS