Kasba SI Controversy
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি মারার অভিযোগে ফের বিতর্কে কলকাতা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) রিটন (Kasba SI Controversy)। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় ব্যাপক ক্ষোভ, এবং তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এরই মধ্যে সামনে এসেছে ওই বিতর্কিত পুলিশ অফিসারের পুরনো নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ড।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবার বাসিন্দা রিটন আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজের প্রাক্তনী। বর্তমানে তাঁর বয়স মধ্য চল্লিশে। পরিবারে স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অল্পতেই মাথা গরম হয়ে যাওয়ার স্বভাব রয়েছে রিটনের। আর এই কারণেই আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
একবার তদন্তের কাজে শিলিগুড়ির একটি ব্যাঙ্কে যান এসআই রিটন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হওয়ায় তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, তিনি ব্যাঙ্কের কর্মীদের ভয় দেখান এবং গ্রেফতারের (Kasba SI Controversy) হুমকিও দেন। ওই ঘটনার জেরে তাঁকে দীর্ঘদিন থানার অভ্যন্তরীণ ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তে দেওয়া হয়েছিল রাস্তার ডিউটি, যেমন নাকাচেকিং। কিন্তু সেখানেও শান্ত থাকেননি রিটন। গাড়ি চালকদের সঙ্গে প্রায়শই বাকবিতণ্ডায় জড়াতেন তিনি, যার ফলে ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়।
তবে রগচটা স্বভাব থাকলেও, তদন্তকারী অফিসার হিসেবে রিটনের (Kasba SI Controversy) দক্ষতা পুলিশের অন্দরমহলে সমাদৃত। সূত্রের খবর, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় কর্মরত থাকাকালীন একটি খুনের মামলায় তিনি সাফল্য পান। একই সঙ্গে, কলকাতার এক অভিজাত আবাসনে হওয়া একটি হাইপ্রোফাইল চুরির ঘটনায় অভিযুক্তকে পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে ধরে আনেন রিটন। এই কৃতিত্বে তাঁকে প্রশংসাও করা হয়েছিল।
কিন্তু এবার বিতর্কের কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়েছে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ—চাকরিহারা শিক্ষককে প্রকাশ্য রাস্তায় লাথি মারা (Kasba SI Controversy)। তারও মারাত্মক দিক হল, ওই মামলার তদন্তভারও প্রথমে ছিল রিটনের হাতেই। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, অভিযুক্তের হাতে কীভাবে তদন্তভার দেওয়া হল? বিতর্কের জল গড়াতে থাকায় শেষ পর্যন্ত রিটনকে তদন্তভার থেকে সরিয়ে ওই মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জয় সিংকে।
ঘটনা নিয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা বলছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ঘটনায় ক্ষোভ তীব্র। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যিনি নিজেই অভিযুক্ত, তিনি কীভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত (Kasba SI Controversy) করতে পারেন?
এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও পুলিশি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আপাতত সকলের নজর তদন্তের ফলাফলের দিকে এবং দেখা যাক, কতটা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এই অফিসারের বিরুদ্ধে।
#KolkataPolice #SIControversy #TeacherAssault
আরও পড়ুন :
সিনেমা প্রযোজনায় নামছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ইউটিউবেই ইরফানের কামব্যাক: আইপিএল থেকে বাদ পড়লেও বাড়ছে রোজগার