Breaking News

PetrolDieselPrice

ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে তেলের দাম বাড়ছে, কিন্তু ভারত কতটা চাপে?

ইরান যদি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ ‘Strait of Hormuz’ বন্ধ করে দেয়, তাহলে বিশ্বে তেলের জোগান বিপদে পড়বে

PetrolDieselPrice Trends in Global Markets Today %%page%% %%sep%% %%sitename%%

PetrolDieselPrice

ক্লাউড টিভি রিপোর্ট : মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আঁচ বিশ্ববাজারে ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। তেলের দাম (PetrolDieselPrice) বাড়ছে, তবে ভারতের উপভোক্তারা আপাতত কিছুটা হলেও  স্বস্তিতে আছেন। কারণ সরকারের মালিকানাধীন তেল কোম্পানিগুলো (HPCL, BPCL, IOC) এখনই দাম বাড়ানোর রাস্তায় হাঁটছে না।

সম্প্রতি ইসরায়েল ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই ঘটনায় ইরান কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। ফলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, ইরান যদি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ ‘Strait of Hormuz’ বন্ধ করে দেয়, তাহলে বিশ্বে তেলের জোগান বিপদে পড়বে। উল্লেখ্য, এই পথ দিয়েই বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল পরিবহন করা হয়।

বিশ্বজুড়ে কমছে খাদ্যের দাম, স্বস্তির ইঙ্গিত এফএওর

জানেন কীভাবে ডিগবয় নামের উৎপত্তি হল ?

এই সম্ভাবনার কারণে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত শুক্রবার দাম গিয়ে ঠেকেছে প্রতি ব্যারেল ৮২.৬২ ডলারে।

ভারত তার প্রয়োজনীয় জ্বালানির ৮৫-৯০ শতাংশ আমদানি করে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে সেটার প্রভাব দেশের উপরও পড়ে। তবু আশার কথা, এখনই মুদ্রাস্ফীতির (inflation) আশঙ্কা ততটা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে এখনই  সেই বর্ধিত দাম  গুনতে হবে  না, কারণ HPCL, BPCL ও IOC এখনও তেলের খুচরো দাম বাড়াননি।
IDFC First Bank-এর বিশ্লেষক গৌরী সেনগুপ্তার কথায়, “গত দু’বছর ধরে খুচরো তেলের দাম একেবারে অপরিবর্তিত আছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও, উপভোক্তাদের ওপর এর চাপ পড়বে না।”

যদি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল $১০ বাড়ে, তাহলে দেশের বার্ষিক খরচে প্রায় ০.৩৫ শতাংশ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে—এমনটাই জানাচ্ছে Emkay Global-এর রিপোর্ট।

কিন্তু যেহেতু তেল কোম্পানিগুলো এখনই দাম বাড়াচ্ছে না, তাই সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে থাকবেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি থাকবে ৩.৭ শতাংশের কাছাকাছি, যা স্থিতিশীল বলা যায়।

RBI–র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যদি ব্রেন্ট তেলের দাম গড়ে ৭৫ ডলারে স্থির থাকে, তাহলে ভারতের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি (CAD) জিডিপির মাত্র ১.৭ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থনীতিবিদ মদন সাবনাভিসের মতে, তেলের দাম সাময়িক কিছুটা বাড়লেও সেটা দীর্ঘমেয়াদে থাকবে না। অর্থাৎ সাময়িক চাপে পড়লেও ভারতের অর্থনীতি বড়সড় ধাক্কা খাবে না।

মুম্বাইয়ে বর্তমানে পেট্রোলের দাম ₹১০৩.৫৩ এবং ডিজেল ₹৯০.৩১ প্রতি লিটার। গত এক বছরে এই দামে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এটাই প্রমাণ করে, সরকার ও তেল সংস্থাগুলি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখছে।

আরও পড়ুন :

একে একে ঝরে পড়ছে খামেনেইয়ের ছায়া সৈনিকরা! ইরানের শীর্ষ কমান্ডে শূন্যতা ও শঙ্কা

ইরানকে ট্রাম্পের হুঙ্কার : বাঙ্কার ফাটানো বোমা, না কি ফোনের কূটনীতি? দোলাচলে তেহরান

ad

আরও পড়ুন: