Breaking News

MamataBanerjee SuperEmergency

“সুপার ইমার্জেন্সি’র থেকেও ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী গণতন্ত্রের উপর হিটলারি আক্রমণ” : মমতা

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল আসলে ভারতের গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আত্মাকে ধ্বংস করবে। তিনি একে ‘হিটলারি আক্রমণ’ আখ্যা দিয়ে বিরোধীদের একজোট হয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।”

MamataBanerjee SuperEmergency: A Political Crisis %%page%% %%sep%% %%sitename%%

MamataBanerjee SuperEmergency

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারতীয় রাজনীতিতে আবারও তীব্র বিতর্ক ছড়াল কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সংবিধান সংশোধনী নিয়ে। ২০ আগস্ট ২০২৫–এ লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন, সেটিকে বিরোধীরা “গণতন্ত্র হত্যা”র হাতিয়ার বলে আখ্যা দিয়েছে। সবচেয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই বিলকে ‘সুপার ইমার্জেন্সি’র থেকেও ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ বলে দাবি (MamataBanerjee SuperEmergency) করেছেন।

  • বিল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা যে কোনও মন্ত্রী যদি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে টানা ৩০ দিন জেলে বন্দি থাকেন, তবে তাঁকে বিনা বিচারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।

  • সরকারের দাবি— এতে দুর্নীতি ও অপরাধে জড়িত নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

  • তবে বিরোধীদের মতে, এই আইন ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করার রাস্তা খুলে যাবে।

বাংলাভাষাকে অপমানের প্রতিবাদে ঝাড়গ্রামে তিন কিলোমিটার মিছিলে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতজুড়ে SIR ইস্যুতে তীব্র আন্দোলনের প্রস্তুতি বিরোধীদের

লোকসভায় বিল পেশ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নবান্ন থেকে বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • তিনি বলেন,

    “এটি গণতন্ত্রের আত্মার উপর হিটলারি আক্রমণ। কেন্দ্র একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে। সুপার ইমার্জেন্সির থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।”

  • মমতার অভিযোগ—

    1. এই বিল মূলত বিচারব্যবস্থার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল।

    2. রাজ্য সরকারের নির্বাচিত মন্ত্রীদের জেল হেফাজতের অজুহাতে সরিয়ে দিয়ে কেন্দ্র চাইছে বিরোধী রাজ্যগুলিকে দুর্বল করতে।

    3. এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করার চেষ্টা এবং ফেডারেল ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি।

তিনি আরও বলেন—

“আজ যদি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে ৩০ দিন জেলে পাঠানো যায়, তবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে কার্যত ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে। এর চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারে না।”

মমতা অভিযোগ করেন, এই বিলের মাধ্যমে বিজেপি আসলে ভারতকে ‘One Man–One Party–One Government’ মডেলে নিয়ে যেতে চাইছে। অর্থাৎ—

  • কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী সর্বশক্তিমান হবেন,

  • বিরোধী রাজ্যগুলির স্বাধীনতা থাকবে না,

  • বিচারব্যবস্থাও প্রভাবিত হয়ে পড়বে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বিরোধী শিবিরকে একত্র হয়ে এই বিল প্রতিহত করতে হবে। তাঁর কথায়—

“গণতন্ত্র বাঁচাতে, সংবিধান রক্ষা করতে এই বিলকে যেকোনো মূল্যে রুখতে হবে।”

তিনি দেশের সর্বস্তরের বিরোধী দল, গণতান্ত্রিক শক্তি এবং নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানিয়েছেন একত্র আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি একদিকে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চাইছে। কিন্তু বিরোধীরা মনে করছে, এভাবে আইনকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।

  • যেভাবে বিরোধী নেতা–মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলায় সিবিআই–ইডি সক্রিয়, তাতে এই বিল পাস হলে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই ক্ষমতাচ্যুত করার সুযোগ তৈরি হবে।

  • ফলে রাজনীতিতে বিরোধীদের টিকে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়তে পারে।


সারসংক্ষেপ

  • বিলের প্রস্তাব : মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী জেলে থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদচ্যুত হবেন।

  • কেন্দ্রের যুক্তি : দুর্নীতি দমন, শুদ্ধ রাজনীতি।

  • মমতার বক্তব্য : ‘গণতন্ত্রের উপর হিটলারি আক্রমণ’, ‘সুপার ইমার্জেন্সি’।

  • বিরোধীদের আশঙ্কা : রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর হাতিয়ার হবে এই আইন।

  • ভবিষ্যৎ : সংসদে এই বিল পাস হলে তীব্র আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই অনিবার্য।

আরও পড়ুন :

ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধ : গাজা শহরে বড়সড় অভিযানের আগে ৫০ হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকতে পারে ইজরায়েল

“ব্রিটিশদের ভয়ে নেতাজি জার্মানিতে পালিয়ে যান”, বাম শাসিত কেরলে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষকদের হ্যান্ডবুকে ছাপা হয়েছিল এই তথ্য

ad

আরও পড়ুন: