NahidIslam BangladeshPolitics
ঢাকা, ২৪ মে ২০২৫ (ক্লাউড টিভি):বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান নাহিদ ইসলাম, যিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছের হিসেবে পরিচিত, সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছেন (NahidIslam BangladeshPolitics)। তাঁর দাবি, দিল্লি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে এবং নতুন করে ২০০৭ সালের ১/১১ পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে।
নাহিদ ইসলাম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিকে সকল প্রকার আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন ও সার্বভৌমভাবে পরিচালনা করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে বারবার বিভাজিত করা হয়েছে, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা হয়েছে, বাংলাদেশকে দুর্বল করে রাখার লক্ষ্যে।” তিনি আরও দাবি করেন, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর থেকে আবারও দিল্লি থেকে ছক আঁকা হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার, দেশকে বিভাজিত করার। গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে।”
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের কর্মরত আইএসআই এজেন্ট মুহাম্মদ আসিফ ও কামরান ধাঙ্গাল সম্প্রতি নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো ভারতবিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলির বাংলাদেশে নতুন প্রশিক্ষণ শিবির খোলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, কট্টর মৌলবাদী মুসলিম সংগঠনগুলির পাশাপাশি সেনাবাহিনীতে থাকা পাকিস্তানপ্রেমী কর্মী-আধিকারিকদেরও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে পথে নামার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিএনপি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা আবারও ২০০৭ সালের মতো অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তারা যে কাউকে ক্ষমতায় আনতে চায়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের ষড়যন্ত্র দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ।”
অন্যদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “নাহিদ ইসলামের মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করবে। আমরা এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চাপ বাড়াল বিএনপি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি বলেছেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের নতুন সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।” তবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও অস্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে। নাহিদ ইসলামের উস্কানিমূলক পোস্ট, আইএসআইয়ের সক্রিয়তা এবং দিল্লির সম্ভাব্য ভূমিকা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলির উচিত, দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।
আরও পড়ুন :