NorthKorea MissileBase
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার সামরিক কার্যক্রম নিয়ে আবারও বড়সড় তথ্য ফাঁস হলো। মার্কিন থিঙ্ক-ট্যাংক CSIS (Center for Strategic and International Studies)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, উত্তর কোরিয়া চীনের সীমান্তের কাছাকাছি একটি গোপন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। এই ঘাঁটি (NorthKorea MissileBase থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা সম্ভব বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গোপন ঘাঁটির নাম সিনপুং-ডং (Sinpung-dong) মিসাইল অপারেটিং বেস।
এটি চীনের সীমান্ত থেকে মাত্র ১৭ মাইল (প্রায় ২৭ কিলোমিটার) দূরে অবস্থিত।
উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ থেকে জানা গেছে, ঘাঁটিতে ৬ থেকে ৯টি Hwasong-15 বা Hwasong-18 ধরণের ICBM রাখা সম্ভব।
ভূগর্ভস্থ টানেল, শক্তিশালী বাংকার এবং মোবাইল লঞ্চার সিস্টেমের কারণে এটি একটি অত্যন্ত টেকনিক্যালি সুরক্ষিত ঘাঁটি।
হামলা প্রতিরোধ ক্ষমতা: ভূগর্ভস্থ কাঠামো থাকার কারণে এই ঘাঁটি ধ্বংস করা সহজ নয়। শত্রুপক্ষকে বিভ্রান্ত করতে ঘাঁটির ভেতরে একাধিক টানেল ও লঞ্চার পজিশন রাখা হয়েছে।
চীনের সীমান্তের কাছে অবস্থান: এত কাছে ঘাঁটি থাকার মানে, যে কোনো সামরিক উত্তেজনা চীনকেও প্রভাবিত করতে পারে। ভুল আক্রমণ বা তথ্য বিভ্রান্তি হলে তা ভয়ঙ্কর আঞ্চলিক সংঘর্ষ ডেকে আনতে পারে।
কূটনৈতিক আলোচনায় অনুপস্থিত: এটি উত্তর কোরিয়ার ১৫-২০টি অঘোষিত সামরিক ঘাঁটির একটি। কিন্তু আন্তর্জাতিক পারমাণবিক আলোচনায় এই ঘাঁটির উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি।
এই ঘাঁটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালে, এবং প্রায় এক দশক পর ২০১৪ সালে এটি কার্যকর হয়।
এরপর থেকে ধাপে ধাপে এর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ চলতে থাকে।
এটি উত্তর কোরিয়ার বৃহত্তর পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির অংশ এবং কিম জং উনের সামরিক নীতি অনুসারে এটির ক্ষমতা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়া এখন কার্যত একটি “Irreversible Nuclear State” বা ‘অপরিবর্তনযোগ্য পরমাণু শক্তি’।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যতই কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে চায় না কেন, উত্তর কোরিয়া তার গোপন ঘাঁটি নেটওয়ার্ক বজায় রাখবে এবং আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নত করবে।
এই ঘাঁটির ফাঁস হওয়া কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, সমগ্র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন :
ইউক্রেনে প্রতিটি অস্ত্র চুক্তিতে ১০% কমিশন নেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে