Dividing Chattogram from Bangladesh
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : সম্প্রতি চিনে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন, যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, উত্তরপূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত এবং সমুদ্রে যাওয়ার কোনো উপায় নেই, এ অঞ্চলে বাংলাদেশ সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ করে। তার এই মন্তব্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবাদ জানান ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোৎ মাণিক্য, তিপ্রা মোথা দলের নেতা। প্রদ্যোৎ বলেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ ভারতের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু ভারতের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর হারানো বড় ভুল ছিল ।(Dividing Chattogram from Bangladesh)
প্রদ্যোৎ মাণিক্য ইউনুসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরার কাছেই, এবং সমুদ্রের পথের জন্য ভারতকে বাংলাদেশ ভেঙে নতুন রাস্তা তৈরি করার পরামর্শ দেন। তিনি আরও দাবি করেন, চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ ১৯৪৭ সাল থেকেই ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল (Dividing Chattogram from Bangladesh), এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা উচিত।
এই পরিস্থিতি ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নতুন রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি করেছে। প্রদ্যোৎ মাণিক্যের বক্তব্যে শুধু ত্রিপুরার বা চট্টগ্রামের বিষয় নয়, বরং বৃহত্তর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক কৌশলগত গুরুত্বও উঠে এসেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চল নিয়ে নতুন আলোচনা ও মতবিনিময় হতে পারে, যা ভারতের দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন সফরে উত্তরপূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ইউনুস। তিনি নাকি বলেছিলেন, ‘উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চিনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।’
এই আবহে প্রদ্যোৎ বলেন, ‘আমাদের আদিবাসীদের সমর্থন করে সমুদ্রে যাওয়ার পথ তরৈর কররা সময় এসেছে ভারতের কাছে। একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত এই আদিবাসীরাই। তাই আমরা আর এই অকৃতজ্ঞ শাসনের উপর নির্ভরশীল নই। ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ১৯৪৭ সালে বন্দরটি ছেড়ে দেওয়া। সেখানে বসবাসকারী পাহাড়ি জনগণ ভারতের অংশ হতে চাইতেন। জনাব ইউনুস মনে করতে পারেন যে তিনি সমুদ্রের অভিভাবক, কিন্তু বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সি একজন স্টপ-গ্যাপ নেতা। ভুলে গেলে চলবে না, তিনি যে বন্দরের কথা বলছেন তা ত্রিপুরা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।’
এদিকে ইউনুসের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চিকেনস নেক করিডরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর দিতে বলেন হিমন্ত। তবে সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রদ্যোৎ বলেন, ‘উদ্ভাবনী এবং চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করার পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলতে পারি এবং সমুদ্রে যাওয়ার জন্যে আমাদের নিজস্ব রাস্তা পেতে পারি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বদা আদিবাসী উপজাতিদের বসবাস ছিল। তারা ১৯৪৭ সাল থেকে সর্বদা ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। সেখানে লক্ষ লক্ষ ত্রিপুরী, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাস করছে। এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং তাদের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা উচিত।’
আরও পড়ুন :
যে ১০ দেশে মোট জনসংখ্যায় মহিলার অনুপাত বেশি!
লোকসভায় শূন্য, বিধানসভায় শূন্যের পরে এবারে রাজ্যসভায়ও শূন্য হবে সিপিএম!
Facebook : https://www.facebook.com/cloud.tv24x7
x (twitter) : https://x.com/cloudTV_NEWS