Breaking News

ModiInCyprus

জি-৭ সম্মেলনের পথে প্রবল তুরস্ক বিরোধী দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসে জ্বালানি ভরতে থামবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

“জি-৭ সম্মেলনের আগেই সাইপ্রাস সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি কূটনীতির সুতোয় একদিকে জুড়ছেন ইউরোপ, অন্যদিকে পৌঁছে দিচ্ছেন বার্তা তুরস্ক ও পাকিস্তানকে।”

ModiInCyprus: A Strategic Diplomatic Visit %%page%% %%sep%% %%sitename%%

ModiInCyprus

ক্লাউড টিভি ডেস্ক | ১২ জুন, ২০২৫ : জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডা যাওয়ার পথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি অপ্রত্যাশিত কিন্তু কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সফরে যাচ্ছেন সাইপ্রাসে (ModiInCyprus)। প্রায় ২৩ বছর পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এই ইউরোপীয় দ্বীপরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এই সফর কেবল এক রাতের যাত্রাবিরতি নয়—এটি বহুমাত্রিক কূটনীতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

ভারত ও সাইপ্রাসের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে গভীর। ১৯৭৪ সালে তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপের সময় ভারত সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়ায়। পরবর্তীকালে, নানা আন্তর্জাতিক ফোরামে সাইপ্রাসও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থানের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে। এই সম্পর্কের পুনর্গঠন করতে গিয়ে মোদির এই সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।

সাইপ্রাস সফরের মাধ্যমে ভারত একদিকে যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাইছে, অন্যদিকে, এটি একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তান-তুরস্ক ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে।

নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে করোনার, সতর্ক থাকুন – সুস্থ থাকতে মানুন এই নির্দেশিকা

ইন্ডিয়ান পোস্টের DIGIPIN—ডিজিটাল জিও-এড্রেস সিস্টেম

সম্প্রতি তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক এবং কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষে বক্তব্য রেখেছে, যা ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। পাশাপাশি, কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্কের হস্তক্ষেপও ভারতের কাছে অগ্রহণযোগ্য। এই পরিস্থিতিতে সাইপ্রাস সফর ভারতের পক্ষ থেকে একটি কৌশলগত পাল্টা চাল।

সাইপ্রাস তুরস্কের প্রতি বরাবরই কঠোর অবস্থান নেয় এবং উত্তর সাইপ্রাসে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতির তীব্র বিরোধিতা করে। এই ভৌগোলিক ও কূটনৈতিক বাস্তবতায় মোদির সফর তুরস্ক ও পাকিস্তান উভয়কেই একটি পরোক্ষ বার্তা।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে মূলত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উঠে আসতে পারে:

  • অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও সহযোগিতা: সাইপ্রাসের মাধ্যমে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ভারতে আনার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

  • প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র: ভারতীয় IT কোম্পানিগুলোর ইউরোপে প্রবেশে সাইপ্রাস ‘গেটওয়ে’ হিসেবে কাজ করতে পারে।

  • India-Middle East-Europe Economic Corridor (IMEC): এই মেগা প্রকল্পে সাইপ্রাসের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদি সাইপ্রাসকে IMEC–এ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চালাতে পারেন। সাইপ্রাস এই করিডরে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী বলেও সূত্রের খবর।

এই সফর যেমন প্রতীকী, তেমনি প্রয়োগযোগ্য দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপে ভারতের কৌশলগত বিস্তার, পশ্চিম এশিয়া হয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর বিকল্প রুট তৈরি এবং চীনকে রুখতে IMEC-কে শক্তিশালী করার দিকটি মাথায় রেখেই ভারত এগোচ্ছে।

সাইপ্রাস সফর মোদিকে একদিকে পশ্চিমা বিশ্বের, অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করছে। এতে করে ভারত-ইইউ কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত তৈরি হতে পারে।

যদিও এই সফরকে অনেকেই মোদির কৌশলী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, কিছু আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, এই সফর আরও বড় আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আনতে পারে, বিশেষ করে তুরস্কের পক্ষ থেকে। তবে ভারত কূটনৈতিকভাবে প্রস্তুত এবং ‘প্রতিপক্ষ নয়, বন্ধুত্ব’ এই নীতিতেই এগোতে চায় বলে সূত্রের দাবি।

আরও পড়ুন :

১ জুলাই থেকে তৎকাল টিকিটে বড় পরিবর্তন: বাধ্যতামূলক হচ্ছে আধার ভেরিফিকেশন

বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে গেল ১৩ টি দেশ, চমক উজবেকিস্তান ও জর্ডন

ad

আরও পড়ুন: