PutinWarning WWIIIAlert
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ এখন তৃতীয় বছরে, আর মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েলের সংঘর্ষ ঘিরে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্ববাসীকে সতর্ক (PutinWarning WWIIIAlert) করে দিলেন—তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা আর ‘কল্পনার’ বিষয় নয়, বাস্তব সংকট হয়ে উঠছে।
শুক্রবার, সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের (SPIEF) মূল অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে পুতিন বলেন,
“বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সংঘর্ষের বিপুল আশংকা দেখা যাচ্ছে। আমরা বৈশ্বিক যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। সব সংকটেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত।”
নিরাপত্তা ইস্যুতে ন্যাটো জোটের পূর্বমুখী সম্প্রসারণ নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে পুতিন বলেন,
“ন্যাটো বারবার রাশিয়ার উদ্বেগকে অগ্রাহ্য করছে। এটি আসলে পশ্চিমা উপনিবেশবাদী নীতিরই আধুনিক রূপ।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিগুলিকে দ্বৈতনীতি ও হুমকি প্রদর্শনের জন্য অভিযুক্ত করেন।
বিশেষ করে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন,
“যত বেশি পশ্চিমা অস্ত্র ইউক্রেনে প্রবেশ করছে, তত বেশি আমরা নিশ্চিত হচ্ছি—এটি সরাসরি সংঘর্ষে পরিণত হতে চলেছে।”
ইরানি হামলা ঠেকাতে ইসরাইলের দৈনিক ব্যয় ২০০ মিলিয়ন ডলার, থমকে তেলআবিবের অর্থনীতি
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে, পুতিন তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে উদ্বেগ (PutinWarning WWIIIAlert) প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
“ইসরায়েল যদি সত্যিই আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যা করার কথা বিবেচনা করে থাকে, তবে আমি আশা করি এটি কেবল কথার কথাই থাকবে।”
তিনি সতর্ক করেন, এমন পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলকে উন্মত্ত সহিংসতায় ঠেলে দিতে পারে এবং “সাধারণ মানুষের মৃত্যু ও চরমপন্থার বিস্তার অনিবার্য হয়ে উঠবে।”
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, যে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক কেন্দ্রে কর্মরত রুশ কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে।
পুতিনের বক্তব্যের ঠিক আগেই রুশ প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
“ইরানে সরকার পরিবর্তনের যে কথা অনেকে বলছেন, তারা যেন বুঝে নেয়—এটা শুধু অগ্রহণযোগ্য নয়, ভয়ংকর। এতে চরমপন্থার বিস্ফোরণ ঘটবে।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন,
“যারা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যা করার কথা বলছে, তারা এক ভয়ঙ্কর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেবে।”
এই বার্তাগুলি বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার কূটনৈতিকভাবে ইরানপন্থী অবস্থানকে স্পষ্টতর করছে, এবং মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো সামরিক উত্তেজনায় রাশিয়া সক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
সবশেষে পুতিন বলেন,
“আমরা চাই এই সংকটগুলোর সমাধান হোক শান্তিপূর্ণ পথে। যুদ্ধ নয়, কূটনীতিই হোক বিশ্বের ভবিষ্যত।”
তাঁর মতে, ‘শান্তির পথ’ বেছে না নিলে, “মানব সভ্যতা এক অন্ধকার অধ্যায়ে প্রবেশ করবে, যেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব নাও হতে পারে।”
আরও পড়ুন :
যুদ্ধকালীন ক্ষমতা আইআরজিসির হাতে তুলে দিলেন খামেনি, গোপন বাঙ্কারে আশ্রয়ে সুপ্রিম লিডার
৬০ ঘণ্টা ধরে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ইরান, সাইবার যুদ্ধের আড়ালে গণযোগাযোগের ভাঙন