RinkuPriya WeddingPostponed
ক্লাউড টিভি স্পোর্টস ডেস্ক : প্রেম নয়, সম্পর্ক শুরু হয়েছিল পারিবারিক আলাপচারিতায়। সেই পরিচয় থেকে শুরু, এরপরই পরিণয়ের দিকে এগিয়ে চলা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের তরুণ ব্যাটসম্যান রিংকু সিং ও নবনির্বাচিত সমাজবাদী পার্টি সাংসদ প্রিয়া সরোজের বাগদান নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আলোচনার ঝড়। আর এবার তাঁদের বিয়ের দিন পিছিয়ে (RinkuPriya WeddingPostponed) যাওয়ায় সেই আলোচনায় যুক্ত হল নতুন মাত্রা।
গত ৮ জুন লক্ষ্ণৌতে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-পরিজনদের উপস্থিতিতে রিংকু ও প্রিয়ার আংটি বদলের অনুষ্ঠান হয়। ইনস্টাগ্রামে রিংকু লিখেছিলেন,
“এই দিন লম্বা সময় ধরে আমাদের হৃদয়ে ছিল—প্রায় তিন বছর। অপেক্ষার প্রতিটি মুহূর্তই ছিল সার্থক।”
এই পোস্ট দেখেই রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ভেসে যান তাঁদের অনুরাগীরা। অনেকেই ভেবেছিলেন, খুব তাড়াতাড়িই হয়তো বিয়ের আসর বসবে।
প্রাথমিকভাবে তাঁদের বিয়ের দিন ধার্য হয়েছিল ১৯ নভেম্বর, ২০২৫। তবে হিন্দি সংবাদমাধ্যম ‘অমর উজালা’ সূত্রে খবর, রিংকুর পারিবারিক মহল জানিয়েছে—ভারতীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচি এতটাই ঠাসা, যে নভেম্বরের সেই দিন বিয়ের জন্য উপযুক্ত নয় বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
গোপনে বিয়ে সারলেন ইউটিউব তারকা খান স্যার, ছাত্রদের জন্য থাকছে বিশেষ ভোজ
নতুন সময় ঠিক হয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
যদিও এখনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা হয়নি, হোটেল বুকিং ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।
রিংকু ও প্রিয়ার সম্পর্কের পেছনে কোনও রোম্যান্টিক সিনেমার গল্প নেই।
জানা গেছে, প্রিয়ার বাবার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু—যিনি নিজেও একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার—তিনি আগে থেকেই রিংকুকে চিনতেন।
সেই সূত্রেই রিংকুর সঙ্গে প্রিয়ার প্রথম পরিচয়। একাধিকবার পারিবারিক আড্ডা, আলাপের পরেই দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার মাছলিশহর আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিজেপির এক প্রবীণ নেতাকে ৩৫,০০০ ভোটে পরাজিত করেছেন প্রিয়া।
প্রথমবারেই সাংসদ নির্বাচিত হওয়া এই তরুণ নেত্রী এখন সমাজবাদী পার্টির অন্যতম উদীয়মান মুখ।
তাঁর বাবা তুফানি সরোজ নিজেও উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির চেনা মুখ, কেরাকাট কেন্দ্র থেকে তিনবার সাংসদ হয়েছেন।
তাই রাজনীতির মাটি থেকেই উঠে এসেছেন প্রিয়া, কিন্তু নিজের যোগ্যতায় তৈরি করছেন আলাদা পরিচয়।
ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে রিংকু সিং এখন এক পরিচিত নাম। কলকাতা নাইট রাইডার্সে তাঁর একের পর এক ম্যাচ জেতানো ইনিংস আইপিএল-এ তাঁকে এনে দিয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। মাঝের সময়টা জাতীয় দলে ঢোকার লড়াইয়ে কেটেছে, কিন্তু এখন তিনি ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নির্ভরযোগ্য মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
“ফিনিশার” হিসেবে তাঁর পরিচিতি বেড়েছে অনেক, বিশেষ করে চাপের মধ্যে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করার ক্ষমতার জন্য।
বিয়ের দিনক্ষণ পিছিয়ে গেলেও, রিংকু ও প্রিয়ার সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহে কোনও ঘাটতি নেই। পরিবার, অনুরাগীরা সকলেই আশাবাদী—২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের শুভ বিবাহের আয়োজন সাড়ম্বরে সম্পন্ন হবে।এর মধ্যেই একদিকে ক্রিকেট মাঠে ব্যস্ততা আর অন্যদিকে সংসদে নতুন দায়িত্ব, রিংকু ও প্রিয়া দুজনেই তাঁদের পেশাগত জগতে নিজেদের জায়গা পাকা করতে ব্যস্ত।তবে এই দুই ভিন্ন জগতের তারকার প্রেম ও পরিণয়ের কাহিনি এখন সারা দেশের নজর কেড়েছে—আর সেটাই তাঁদের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় জয়।
আরও পড়ুন :
লর্ডসে একদিনে ৯৪৩ শিশুকে ক্রিকেট শেখানোর বিশ্ব রেকর্ড, ইতিহাস গড়ল চান্স টু শাইন”
‘কে হবেন বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি?’ – কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা