Breaking News

SindhIndependence

‘কাল বনা থা বাংলাদেশ, আজ বনেগা সিন্ধুদেশ’, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এ বার বাংলাদেশের নাম করে উঠল স্বাধীনতার স্লোগান

আন্দোলনকারীরা সেনাবাহিনী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে

SindhIndependence Movement Gains Momentum in Sindh %%page%% %%sep%% %%sitename%%

SindhIndependence

ক্লাউড টিভি ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’ স্থগিত হতে না হতেই চোলিস্তান খাল প্রকল্পকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ। গত ২০ মে ওই আন্দোলনের একটি ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডলে (আগে নাম ছিল টুইটার) ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে এলাকাবাসীকে সেনা কনভয় আটকে স্বাধীনতার স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। সিন্ধবাসীরা পাক সৈনিকদের ‘দুশমন’ বা শত্রু বলে উল্লেখ করতেও পিছপা হননি।সিন্ধের বিভিন্ন অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ বিদেশি কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করল সেনাবাহিনী

সিন্ধ প্রদেশে ‘সিন্ধুদেশ’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জাতীয়তাবাদী সংগঠন ‘জয় সিন্ধ মুতাহিদা মহাজ’ (JSMM) ও ‘জয় সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট’ (JSFM) নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই আন্দোলন মূলত সিন্ধবাসীদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Danish Naseer (@danishnaseer414)

সিন্ধ প্রদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভের মূল কারণসমূহ হলো:

  • জল ও ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা: সিন্ধু নদীর জল বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে ।

  • সেনাবাহিনীর আধিপত্য: সেনাবাহিনী সিন্ধ প্রদেশের অর্থনীতি ও প্রশাসনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

  • সংস্কৃতি ও ভাষার অবমূল্যায়ন: সিন্ধি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি কেন্দ্র সরকারের অবহেলা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

গত ২০ মে, সিন্ধ প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর কনভয় আটকে দিয়ে ‘কাল বনা tha বাংলাদেশ, আজ বনেগা সিন্ধুদেশ’ স্লোগান দেওয়া হয়। এতে সেনা সদস্যদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীরা সেনা কনভয় আটকিয়ে ‘শত্রু’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।এছাড়াও  সিন্ধ প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও সরকারি দপ্তরে হামলার ঘটনা ক্রমাগত ঘটেই চলেছে। এইসব প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার হয়েছে।

সিন্ধ প্রদেশের এই আন্দোলন আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও রাষ্ট্র এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে, পাকিস্তান সরকার এই আন্দোলনকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।

ভবিষ্যতে, এই আন্দোলন পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। সিন্ধ প্রদেশের জনগণের দাবি যদি উপেক্ষিত হয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে, যা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

আরও পড়ুন :

পদত্যাগের জল্পনার মাঝেই বিএনপি ও জামায়তের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক

সবুজ-মেরুনে ভোটের হাওয়া, নির্বাচনী প্রচারে দেবাশিস দত্ত গোষ্ঠীর ‘গোলশ্রী’ ও ‘দুয়ারে মোহনবাগান’

ad

আরও পড়ুন: