Breaking News

FilmStar ChiefMinister

রুপালি পর্দা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার — ইতিহাস গড়েছেন যারা

ভারতের ইতিহাসে রূপালি পর্দার তারকারা শুধু বিনোদনেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। কয়েকজন সরাসরি রাজনীতির শীর্ষ আসনে উঠে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এম. জি. আর, জয়ললিতা, এন. টি. আর কিংবা ভাগবন্ত মান এই ইতিহাসের উজ্জ্বল উদাহরণ। এবার সেই কাতারে নাম লেখাতে চাইছেন থালাপতি বিজয়।

FilmStar ChiefMinister: A Unique Political Journey %%page%% %%sep%% %%sitename%%

FilmStar ChiefMinister

ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিনোদন জগত ও রাজনীতির এক অদ্ভুত যোগসূত্র রয়েছে। রূপালি পর্দায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করা বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী রাজনীতির মঞ্চেও নিজেদের শক্ত উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং আস্থাকে সঙ্গী করেই তারকারা শুধু সংসদ সদস্য বা জনপ্রতিনিধি হননি, বরং হাতেগোনা কয়েকজন সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসনেও বসেছেন।

সম্প্রতি দক্ষিণী সুপারস্টার থালাপতি বিজয় নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করে আলোচনায় এসেছেন এবং আসন্ন নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে লড়বেন বলে জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ফিরে দেখা যাক সেই তারকাদের কীর্তি, যারা অভিনয়ের গণ্ডি ভেঙে রাজনীতির শীর্ষ আসনে পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করেছেন।

রাজনীতির মঞ্চ থেকে বলিউডে আত্মপ্রকাশ দীপ্সিতার! নতুন অবতারে ‘জিদ্দি গার্ল’

থাইল্যান্ডে গাঁজা কিনতে লাগবে প্রেসক্রিপশন: বৈধতার পর তিন বছরেই কঠোর নিয়ন্ত্রণে সরকার

এম. জি. রামচন্দ্রন (এম. জি. আর)

তামিল চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তি নাম। অভিনয়ে যেমন দুর্দান্ত জনপ্রিয়, তেমনি রাজনৈতিকভাবেও অদম্য ছিলেন তিনি। অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়িয়ান প্রগ্রেসিভ ফেডারেশন (এআইএডিএমকে)-এর প্রতিষ্ঠাতা এই নায়ক ১৯৮০ সালের ৯ জুন থেকে ১৯৮৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তামিল রাজনীতিতে আজও তার প্রভাব অটুট।

ভি. এন. জানাকি রামচন্দ্রন

জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং এম. জি. আর-এর স্ত্রী জানাকি রামচন্দ্রনও ইতিহাস গড়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর রাজনীতিতে প্রবেশ করে ১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে স্বল্প সময়ের জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন। মাত্র ২৩ দিনের মেয়াদ হলেও তিনি ভারতীয় ইতিহাসে প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে স্থান করে নেন।

জয়ারাম জয়ললিতা

তামিল সিনেমার সুপারস্টার থেকে রাজনীতির ‘আয়রন লেডি’। জয়ললিতা ছিলেন এআইএডিএমকে দলের অন্যতম শক্তিশালী নেত্রী। ১৯৯১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ছয়বার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেন। প্রায় ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি ক্ষমতায় থেকে তামিল রাজনীতির আইকন হয়ে ওঠেন। তাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে জনপ্রিয় সিনেমা এবং অসংখ্য বই।

এন. টি. রামা রাও (এন. টি. আর)

তেলেগু সিনেমার সম্রাট এন. টি. আর শুধু অভিনয়ের জগতে নন, রাজনীতিতেও ছিলেন শক্তিধর। তিনি তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করে চার দফায় মোট সাত বছর আন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তার ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব তেলেগু রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় লিখেছিল।

ভাগবন্ত মান

সিনেমা ও মঞ্চে কৌতুকাভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করা ভাগবন্ত মান ২০২২ সালে আম আদমি পার্টি (AAP) প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। তারপর তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সংস্কৃতি থেকে রাজনীতিতে তার উত্থান ছিল একেবারেই আলাদা ধরণের গল্প।

পবন কল্যাণ

তেলেগু সুপারস্টার এবং জনা সেনা পার্টি প্রতিষ্ঠাতা পবন কল্যাণ ২০২৪ সালে বড় পদ পান। তিনি আন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। এখনো সিনেমা ও রাজনীতি—দুই মঞ্চেই সমানভাবে সক্রিয় থাকায় তাকে ঘিরে ভক্ত ও রাজনীতিকদের উচ্ছ্বাস সবসময় তুঙ্গে থাকে।

ভারতের গণতন্ত্রে তারকারা শুধু বিনোদন দিয়েই থেমে থাকেননি, বরং জনপ্রিয়তার মোহ ও নেতৃত্বের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সরাসরি শাসনব্যবস্থার অংশ হয়েছেন। এম. জি. আর থেকে জয়ললিতা, এন. টি. আর থেকে ভাগবন্ত মান—তাদের যাত্রা প্রমাণ করে রাজনীতির মঞ্চে রুপালি পর্দার আলো এখনো সমান উজ্জ্বল। থালাপতি বিজয়ের নতুন রাজনৈতিক যাত্রা তাই অনেকের কাছে আবারও সেই পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে।

আরও পড়ুন :

জীবনকৃষ্ণের জীবন কি একটি পুকুর বাঁচাতে পারবে? এটাই এখন সব থেকে প্রশ্ন

গঙ্গাসাগরে বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের ধিক্কার মিছিল

ad

আরও পড়ুন: