Tanzania election protest deaths
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : তাঞ্জানিয়ায় বিতর্কিত সাধারণ নির্বাচনের পর ভয়াবহ অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। রাজধানী দার এস সালামসহ বহু শহরে সংঘর্ষ হয়েছে। বিরোধী দল CHADEMA দাবি করেছে, তিন দিনে সেনা ও পুলিশের অভিযানে অন্তত ৭০০ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
তবে সরকার এই দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। তাদের মতে, বিক্ষোভ সীমিত আকারের এবং মৃত্যু সংখ্যা প্রচারিত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। যদিও, নিরপেক্ষ সূত্র পরিস্থিতি যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে না। কারণ ইন্টারনেট আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে।ভোটের ফল ঘোষণার পরই উত্তেজনা তৈরি হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, ভোট কারচুপি হয়েছে এবং নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি। তাই তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দেয়। কিন্তু রাস্তায় নামতেই পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়।
এরপর নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর হয়। তারা টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং কিছু জায়গায় গুলি ব্যবহার করে। ফলে জনসাধারণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেক মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোনোর সাহস পাচ্ছে না।এদিকে সরকার প্রথমেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে। এরপর প্রায় পুরো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত করা হয়। এছাড়া রাতের কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত।
তবে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপকে তথ্য গোপনের চেষ্টা বলে মনে করছে। অনেক হাসপাতাল কর্মী নাম প্রকাশ না করে বলছেন, মরদেহের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশিই।বিরোধী নেতা বলেছেন, “এটি গণতন্ত্র হত্যা এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।” তিনি আরও দাবি করেছেন, “জনগণের ভোট চুরি হয়েছে।” যদিও সরকারের বক্তব্য ভিন্ন। তারা বলছে, “দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করাই প্রথম কাজ।”
আগুনের লেলিহান শিখা লস অ্যাঞ্জেলেস, পুড়ছে অ্যাথলেটদের স্বপ্নের পদক-বাড়ি
পদত্যাগের জল্পনার মাঝেই বিএনপি ও জামায়তের সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক
এখন আন্তর্জাতিক মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত করা জরুরি। পাশাপাশি তারা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে।এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, তাঞ্জানিয়ার জনগণকে মত প্রকাশের অধিকার দিতে হবে। তবে সরকার এখনো কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তেজনা আগামিদিনে আরও বাড়তে পারে। কারণ বিরোধীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।তবে অনেকেই শান্তিপূর্ণ সমাধান চান। কারণ দীর্ঘ সংঘাত তাঞ্জানিয়ার অর্থনীতি এবং স্থিতিশীলতাকে ভেঙে দিতে পারে। ইতিমধ্যেই পর্যটন খাত ক্ষতির মুখে। ব্যবসার পরিবেশও অস্থির হয়ে পড়েছে।
তাঞ্জানিয়া আগে তুলনামূলক শান্ত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রতিফলন।
এখন সবার নজর সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপে। বিরোধীরা বলছে, “যুদ্ধ নয়, ভোটের মর্যাদা চাই।” তাই দেশজুড়ে টানটান পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন :
শান্তি আলোচনার ঠিক আগে পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিল তালিবান: “কেউ আগুন নিয়ে খেলা করছে”