Pakistan nuclear testing claims
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট Donald Trump খোলাখুলি দাবি করেছেন যে Pakistan পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সেই প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকেও নিজস্ব “পারমাণবিক অর্ডার” গঠন করে দ্রুত সাড়া দিতে হবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান পরীক্ষা করছে, যুক্তরাষ্ট্রকেও করতে হবে” — এবং এভাবেই তিনি আন্তর্জাতিক পারমাণবিক স্থিতিশীলতার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছেন।
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তান এই যুদ্ধোত্তর যুগে পারমাণবিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “রাশিয়ার পরীক্ষা, চীনের পরীক্ষা, তারা কথা না বলে চেষ্টা করছে। আমরা উন্মুক্ত সমাজ। আমরা ভিন্ন। আমরা বলি। কারণ না হলে সাংবাদিকরা লিখবে না।” বিশেষ করে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, “আমরা পরীক্ষা করব, কারণ তারা পরীক্ষা করছে … আমি একমাত্র দেশ হতে চাই না যারা পরীক্ষা করছে না।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে “সব থেকে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে”। তিনি বলেন, “আমাদের এত অস্ত্র রয়েছে যে আমরা পৃথিবীকে ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি।”
ইরানের প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পকে কঠোর বার্তা: পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে না
ট্রাম্পের এই মন্তব্য একদিকে যেমন গ্লোবাল পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ও অর্থনৈতিক–সামরিক ভারসাম্যের প্রশ্নকে সামনে এনেছে, অন্যদিকে অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই ধরনের উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। বিশেষ করে International Atomic Energy Agency (আইএইএএ) ও অন্যান্য সংস্থার কাঠামোগত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হচ্ছে এমন সময় এই ধরনের আলোচনা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
দেখা যাচ্ছে যে গত কয়েক বছরে পারমাণবিক পরীক্ষা গুপ্তভাবে ভূগর্ভে হচ্ছে, যার ফলে সেগুলো সম্বন্ধে তথ্য কম পাওয়া যাচ্ছে। ট্রাম্পের মতে, “তারা পরীক্ষা করে কিন্তু আমরা জানি না কোথায়”। অর্থাৎ, তথ্যের স্বচ্ছতার অভাবে একাধিক দেশেই নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি কাঠামো দুর্বল হতে পারে।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমের দেশগুলোর বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো — কিভাবে তিনি শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত না হয়ে একদিকে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্তিশালী করবেন, অন্যদিকে নিজেদের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বজায় রাখবেন। ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, “আমরা একমাত্র দেশ হতে চাই না যারা পরীক্ষা করছে না।” কিন্তু এই মনোভাব আন্তর্জাতিক আলোচনা ও আলোচ্য বিষয় হিসেবে ইতিমধ্যেই উত্তাপ বাড়াচ্ছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলোর পরীক্ষণ কার্যক্রম নিরীক্ষণ ও যাচাই করার প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে। কারণ, তাঁদের ভূগর্ভস্থ পরীক্ষণের তথ্য পাওয়া সাধারণত কঠিন।
শেষ পর্যায়ে বলা যায়, বর্তমান সময়ে পারমাণবিক স্থিতিশীলতা শুধু কয়েকটি দেশের মধ্যকার প্রতিযোগিতা নয়; বরং এটি একটি বহু-পাক্ষিক চুক্তি, নিয়ন্ত্রণ, নজরদারি ও স্বচ্ছতার বিষয়।
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিশ্বের সকল দেশকে — বিশেষ করে যেসব দেশ পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করেছে বা তার পথে রয়েছে ।
আরও পড়ুন :
নিরাপত্তাজনিত কারণে মন্নাতের সামনে জন্মদিনে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করলেন না Shah Rukh Khan