ukraine ceasefire
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতায় নেমেছে আমেরিকা (ukraine ceasefire)। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও সেই সাক্ষাৎ সুখের ছিল না। দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল মিডিয়ার সামনেই।
এরপরই কিয়েভকে সামরিক সাহায্য এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ বন্ধ করেছিল ইউক্রেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত দীর্ঘ আলোচনার পর একটি উল্লেখযোগ্য সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এই আলোচনার ফলস্বরূপ, ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি ((ukraine ceasefire)) প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, যা উভয় পক্ষের সম্মতিতে বাড়ানো যেতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই প্রস্তাব গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং রাশিয়ার সম্মতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেছেন।
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারিং পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “বল এখন রাশিয়ার কোর্টে,” এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে রাশিয়া এই প্রস্তাবে সম্মতি দেবে।
এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল একটি বিষয় খুব স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তির দৃষ্টিভঙ্গি’র সঙ্গে সহমত।’ ওয়াল্টজ বলেন, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা গ্যারান্টি পেয়েছেন এই বৈঠক থেকে। এই যুদ্ধ কীভাবে স্থায়ীভাবে শেষ হতে পারে, সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিবরণ পেয়েছেন তাঁরা।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এই সমঝোতাকে একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ইউরোপীয় অংশীদারদের সাথে আলোচনা করেছেন। তিনি জোর দিয়েছেন যে ইউরোপীয় দেশগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন হবে।
বঙ্গজয়ে বিজেপির ভরসা সেই হিন্দুত্ব-মমতা বিরোধিতায়, ২৬ এ চিড়ে ভিজবে?
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদিতে বৈঠকের আগেই ১১ মার্চ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০২৫ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রথম বড় আকারের আগ্রাসী হামলা এটি। এদিকে ড্রোন হামলার জেরে মস্কোর তিনটি বিমানবন্দরে প্লেন ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়েছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনের ৩৩৭টি ড্রোনকে প্রতিহত করেছে তারা। এর মধ্যে মস্কোর আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে ৯১টি ড্রোন।
তবে, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া এখনও অনিশ্চিত। রুশ কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, যা শান্তি প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার দিকে। যদি রাশিয়া এই প্রস্তাবে সম্মতি না দেয়, তাহলে শান্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যা ইউক্রেন, রাশিয়া এবং গোটা অঞ্চলের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
নতুন আপডেটের জন্য আমাদের সাথে থাকুন।
Facebook : https://www.facebook.com/cloud.tv24x7
x (twitter) : https://x.com/cloudTV_NEWS