USA Electronics Tax Tariff
ক্লাউড টিভি ডেস্ক: বিশ্ব প্রযুক্তি বাজারের জন্য এসেছে বড় সুখবর। যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রলের (CBP) সর্বশেষ ঘোষণায় জানানো হয়েছে, মোবাইল ফোন, কম্পিউটারসহ অধিকাংশ ইলেকট্রনিক পণ্য নতুন শুল্কের (USA Electronics Tax Tariff) আওতায় পড়বে না। এমনকি চীনা পণ্যের ওপর যেসব উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলোরও ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা থাকছে না। ফলে মার্কিন বাজারে চীনে তৈরি আইফোন কিংবা স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
শনিবার CBP-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষেত্রে অধিকাংশ আমদানি শুল্ক শিথিল থাকবে এবং সাময়িকভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা বজায় থাকবে।’ এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে, এবং বাজারেও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
নতুন শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ, বলছে মার্কিন বিনিয়োগ কোম্পানি
যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রনিক (USA Electronics Tax Tariff) পণ্যের বড় অংশই চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। বিশেষ করে আইফোন ও বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশের বড় একটা অংশ চীনে উৎপাদিত হয়। তাই এই সিদ্ধান্ত সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে না, বরং দাম স্থিতিশীল থাকবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে, বিশ্বের সব দেশের ওপর যেসব নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ছিল, তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ৯০টি বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বলে জানিয়েছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন একটি করে চুক্তির লক্ষ্যে এগোচ্ছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই এসব আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন।’
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অনেক কঠিন। অতীতে দেখা গেছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি ছোট চুক্তি সম্পন্ন করতেই লেগেছিল আট মাস। আর কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি সম্পূর্ণ হতে সময় লেগেছিল দুই বছরেরও বেশি।
এ বিষয়ে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ রেবেকা লিউ বলেন, “চুক্তি মানেই শুধু স্বাক্ষর নয়, প্রতিটি দেশের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছানো। ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি করা প্রায় অসম্ভব।”
তবে ট্রাম্প সমর্থকরা বলছেন, এই কৌশলের মাধ্যমে বাণিজ্য ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও জোরদার হবে। তারা মনে করেন, অস্থায়ী শুল্ক (USA Electronics Tax Tariff) স্থগিতাদেশ এবং দ্রুত চুক্তির উদ্যোগ বিশ্ব বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ এবং নেতৃত্ব প্রতিফলিত করে।
বিশ্বজুড়ে চলমান জিওপলিটিকাল টানাপোড়েন এবং বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে এই ঘোষণাকে একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অন্তত ইলেকট্রনিক খাত আপাতত শুল্ক চাপ থেকে মুক্ত থাকায় ভোক্তারা স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।
#শুল্কমুক্তপ্রযুক্তি #ট্রাম্পনীতিরপ্রভাব #চীনা_পণ্যে_স্বস্তি #USA #TaxTariff #electronics #China #Business
আরও পড়ুন :
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫: রেফারিরা বডি ক্যামেরা পরবেন, গোল গোলরক্ষকরাও শাস্তি পাবেন
বিশ্বের শীর্ষ ধনী শহরের তালিকায় স্থান পেল দুবাই