USVisaPolicy
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : মার্কিন নাগরিকদের ডিজিটাল মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপকারী বিদেশি রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে ভিসা নিষেধাজ্ঞা (USVisaPolicy) জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের আওতাধীন এই নতুন নীতিকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও আন্তর্জাতিক আলোচনা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন,
“কোনো মার্কিন নাগরিক যদি সামাজিক মাধ্যমে নিজের মত প্রকাশ করেন, তা কোনো বিদেশি সরকারের অপছন্দ হলেও, তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। যারা এমন চেষ্টা করবেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পাবেন না।”
নতুন এই ভিসানীতির আওতায়, যারা মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেন, কনটেন্ট মুছতে বলেন, বা মতপ্রকাশে বাধা সৃষ্টি করেন, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এই ভিসানীতি মূলত ডিজিটাল সেন্সরশিপ প্রতিরোধে একপ্রকার কৌশলিক অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, বিভিন্ন বিদেশি সরকার ও তাদের কর্মকর্তারা মার্কিন নাগরিকদের অনলাইন পোস্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন, যা মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
রুবিও বলেন,
“বিদেশি সরকারগুলো তাদের মতপছন্দ অনুযায়ী মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোর ওপর সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিতে চাইছে। এটা আমরা মানি না।”
যদিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট করে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি, তবে কূটনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু নির্দিষ্ট দেশ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, রাশিয়া ও তুরস্ক মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে পোস্ট নিষিদ্ধ করা বা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এই নীতিকে ঘিরে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সাহসী পদক্ষেপ, আবার অনেকে এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কৌশল হিসেবে দেখছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, আগামীদিনে এই নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্র-বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন রাজনীতির ভেতরেও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ তুলেছেন, এই নীতির আড়ালে আসলে নির্দিষ্ট কিছু দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাবুক চালাতে চাইছে হোয়াইট হাউস।
অন্যদিকে, ট্রাম্পপন্থী রিপাবলিকানরা এটিকে “ডিজিটাল স্বাধীনতার রক্ষাকবচ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাব মেনে নিয়েছে ইউক্রেন, রাশিয়া কি সম্মত হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিশ্বব্যাপী একটি বার্তা দিতে চাইছে:
“মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারীদের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কের প্রশ্নে আমরা আপসহীন।”
এই নীতির প্রয়োগ কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং কোন কোন দেশের ওপর তা প্রয়োগ করা হবে—তা দেখার অপেক্ষায় এখন আন্তর্জাতিক মহল।
আরও পড়ুন :
দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস, মিলেছে নতুন ৪ সাব-ভেরিয়েন্ট!
১৭ বছরেই ‘সুপারস্টার’! বার্সায় চোখ কপালে ওঠার মতো বেতন পাচ্ছেন ইয়ামাল