Uyghur Rebels
ক্লাউড টিভি ডেস্ক : ‘উইঘুর’ মুসলিম যোদ্ধাদের (Uyghur Rebel and China) নিয়ে তৈরি সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি’র থেকে এ বার সরাসরি হুমকি পেল চিন। ড্রাগনল্যান্ড ভেঙে নতুন পূর্ব তুর্কিস্তান দেশ তৈরির স্বপ্ন দেখছেন তাঁদের আমির। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পেরে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হেঁটেছে লালফৌজ। এর জেরে অচিরেই সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে সেখানকার মাটি রক্তে লাল হবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা।
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এক সপ্তাহও কাটেনি। তার মধ্যেই এ বার চিনকে সরাসরি হুমকি দিয়ে বসেছে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি’ বা টিআইপি। ড্রাগনল্যান্ড ভেঙে নতুন দেশ তৈরির শপথ নিয়েছে তারা। উল্লেখ্য আসাদ সরকারের পতনের নেপথ্যে অন্যতম বড় ভূমিকা রয়েছে টিআইপির।(Uyghur Rebel and China)
কিন্তু, কেন হঠাৎ বেজিংকে শত্রু হিসাবে ঘোষণা করল সিরিয়ার এই সশস্ত্র গোষ্ঠী? সেটার এক এবং একমাত্র কারণ হল উইঘুর মুসলিমদের উপর চিনের শি জিনপিং সরকারের পাশবিক অত্যাচারের অভিযোগ। তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টির যোদ্ধাদের নেতৃত্বে রয়েছেন এই উইঘুররা। সিরিয়ার পর এ বার ড্রাগনের সঙ্গে যাবতীয় হিসাব কড়ায়গন্ডায় বুঝে নিতে চাইছেন তাঁরা।
চিনের শিনজিয়ান প্রদেশে মূলত উইঘুর মুসলিমরা বসবাস করেন। অভিযোগ, ধর্মাচরণ থেকে শুরু করে খাদ্যাভাস, গত কয়েক বছরে তাঁদের যাবতীয় স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। প্রতিবাদ করলেই উইঘুরদের ঠাঁই হচ্ছে ‘পিপলস্ লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএর ক্যাম্পে।
এ ছাড়া চিনা ফৌজের বিরুদ্ধে উইঘুর (Uyghur Rebel and China)জনবহুল এলাকায় মসজিদ ভাঙার অভিযোগও রয়েছে। সেগুলিকে নিজেদের প্রাচীন সংস্কৃতির আদলে নতুন করে নির্মাণ করছে বেজিং। চাপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করা, বিনা বিচারে আটক বা মৃত্যুদণ্ড, নানা কারণে শিনজিয়ানের উইঘুরদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে একাধিক পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম।
এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পরই বেজিংকে হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করে টিআইপি। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, শিনজিয়ানের কাশগড়, উরুমচি এবং আকসুর মতো এলাকাগুলিতে ‘জিহাদ’ শুরু করবে তারা। ড্রাগনল্যান্ড ভেঙে উইঘুরদের জন্য আলাদা দেশ গঠন না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই ‘ধর্মযুদ্ধ’।
x (twitter) – https://x.com/cloudTV_NEWS
চিনকে দেওয়া টিআইপির হুমকি সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আনে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’। এই সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অনেক যোদ্ধাই ড্রাগনল্যান্ডের উইঘুর-প্রধান এলাকা থেকে পালিয়ে এসেছেন। কাশগড়, উরুমচি বা আকসুকে তালুর মতো চেনেন তাঁরা। দামাস্কাসের কায়দাতেই শিনজিয়ানের দখল নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
Bangladesh-India : ঢাকা থেকে আগরতলা পর্যন্ত লংমার্চ করবে বলে হুঁশিয়ারি খালেদার!